বামপন্থীদের রবীন্দ্র কুৎসা: কমরেড ভবানী সেন।
কমরেড ভবানী সেন মার্ক্সবাদী পত্রিকায় (পঞ্চম সংকলন, ১৯৪৯, পৃ. ১২৫-১৭২) রবীন্দ্রনাথ নিয়ে যে কুৎসা করেছিলেন তার বিশেষ কিছু অংশ দেখে নেওয়া যাক:―
“...রবীন্দ্রনাথের সুদীর্ঘ জীবনে এই রাজনৈতিক ধারণার কোন মৌলিক পরিবর্তন হয় নি। রাষ্ট্রীয় গণসংগ্রাম মাঝে মাঝে তার মনের উপর রেখাপাত করেছে, বৃটিশ শাসনের অত্যাচারের বিরুদ্ধে তিনি মাঝে মাঝে প্রতিবাদ জ্ঞাপন করেছেন, কিন্তু রাজনীতিক্ষেত্রে তাঁর দর্শন ছিল ‛গঠনমূলক কাজ’, তাই সবসময়ই তিনি ছিলেন কংগ্রেসের বামপন্থীদের বিরােধী। এবার দেখা যাক রবীন্দ্রনাথের দার্শনিক মতটা কি ছিল:―
"মানুষের গভীরতম ঐক্যটি যেখানে, সেখানে কোন সংজ্ঞা পৌছতে পারে না-কারণ সেই ঐক্যটি জড়বস্তু নহে তাহা জীবনধর্মী। সুতরাং তাহার মধ্যে যেমন একটা স্থিতি আছে তেমনি একটা গতিও আছে। কেবলমাত্র স্থিতির দিকে যখন সংজ্ঞাকে খাড়া করিতে যাই তখন তাহার গতির ইতিহাস তাহার প্রতিবাদ করে কেবলমাত্র গতির উপরে সংজ্ঞাকে স্থাপন করাই যায় না, সেখানে সে পা রাখিবার জায়গাই পায় না।”
(পরিচয়, রবীন্দ্র রচনাবলী-১৮শ খণ্ড, পৃঃ ৪৬৭ )
অর্থাৎ উপনিষদের মায়াবাদ হল রবীন্দ্র দর্শনের সারমর্ম। এই দর্শনই শ্রেণীসংগ্রামে বুর্জোয়াশ্রেণীর সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী হাতিয়ার। মজুরশ্রেণীকে শ্রেণীসংগ্রাম ভুলিয়ে দেবার মত এত বড় শক্তিশালী হাতিয়ার ধনিকশ্রেণীও আবিষ্কার করতে পারেনি।
ধর্মের দিক থেকে রবীন্দ্রনাথ উদারমতাবলম্বী। নিজের ধর্মমত ব্যাখ্যা করে তিনি বলছেন : “মনে রাখা দরকার, ধর্ম আর ধর্মতন্ত্র এক জিনিস নয়। ও যেন আগুন আর ছাই। ধর্মতন্ত্রের কাছে ধর্ম যখন খাটো হয় তখন নদীর বালি নদীর জলের উপর মােড়লি করিতে থাকে। তখন স্রোত চলে না, মরুভূমি ধূ ধু করে। তার উপরে, সেই অচলতাটাকে লইয়াই যখন মানুষ বুক ফোলায় তখন গণ্ডস্যোপরি বিস্ফোটকং।”
রবীন্দ্রনাথ ফিউডাল ধর্মের গোঁড়ামি থেকে মুক্ত। তিনি বিশুদ্ধ বুর্জোয়া ধর্মমতাবলম্বী। কিন্তু তাই বলে তিনি ধর্মগত সংকীর্ণতার উর্ধ্বে ছিলেন মনে করলে ভুল হবে। দার্শনিক বচনবিন্যাসের আড়ালে সাম্প্রদায়িক সংকীর্ণতা কি ভাবে উকি ঝুকি মারত তা হিন্দুমুsলমানের ঐক্য সম্বন্ধে তাঁর মত দেখলেই বােঝা যায়। সােজা কথায় তিনি হিন্দু-মুsলমানের ঐক্যে বিশ্বাসী ছিলেন না। হিন্দু-মুsলিম দাঙ্গার মধ্যে বৃটিশ সাম্রাজ্যবাদের চক্রান্ত না দেখে তিনি দেখেছিলেন এই যে মুsলমানেরা মারতে পারে এবং হিন্দুরা শুধু পড়ে পড়ে মার খায়। তাই হিন্দু-মুsলমানের মিলন হয় না।
“হিন্দুতে মুsলমানে কেবল যে এই ধর্মগত ভেদ তা নয়, তাদের উভয়ের মধ্যে একটা সামাজিক শক্তির অসমকক্ষতা ঘটেছে। মুsলমানের ধর্ম সমাজের চিরাগত নিয়মের জোরেই তার আপনার মধ্যে একটা নিবিড় ঐক্য জমে উঠেছে, আর হিন্দুর ধর্মসমাজের সনাতন অনুশাসনের প্রভাবেই তার আপনার মধ্যে একটা প্রবল অনৈক্য ব্যাপ্ত হয়ে পড়েছে। এর ফল এই যে, কোন বিশেষ প্রয়ােজন না ঘটলেও হিন্দু নিজেকেই মারে, আর প্রয়ােজন থাকলেও হিন্দু অন্যকে মারতে পারে না। আর মুsলমান কোন বিশেষ প্রয়ােজন না ঘটলেও নিজেকে দৃঢ়ভাবে রক্ষা করে, আর প্রয়ােজন ঘটলে অন্যকে বেদম মার দিতে পারে।” (কালান্তর—পৃ: ২৩৯ )
★★রবীন্দ্রনাথের এই উক্তির সরল অর্থ এই যে, মুaলমানেরা ঘােতর সাম্প্রদায়িক এবং হিন্দুরা ঘোরতর অসাম্প্রদায়িক, তাই সমানে সমানে যে ঐক্য সম্ভব হিন্দু-মুsলমানে সে ঐক্য সম্ভব নয়। বলা বাহুল্য হিন্দু মহাসভা এবং রাষ্ট্রীয় সেবক সংঘের মতের সঙ্গে রবীন্দ্রনাথের এই মতের কোন পার্থক্য নেই।★★
বৃটিশের বিরুদ্ধে স্বাধীনতার জন্য হিন্দু-মুsলিম ঐক্যের ব্যঙ্গ করে রবীন্দ্রনাথ বলেছেন :
“একটা জায়গায় দুই পক্ষ ক্ষণে ক্ষণে মেলবার চেষ্টা করে, সে হচ্ছে তৃতীয় পক্ষের বিরুদ্ধে। শিবঠাকুরের ছড়াটা যদি আজ সম্পূর্ণ পাওয়া যেত তা হলে দেখা যেত, ঐ যে প্রথমা কন্যাটি রাধেন বাড়েন অথচ খেতে পান না, আর সেই যে তৃতী কন্যাটি না খেয়ে বাপের বাড়ি যান, এদের উভয়ের মধ্যে একটা সন্ধি ছিল—সেই হচ্ছে ঐ মধ্যমা কন্যাটির বিরুদ্ধে। কিন্তু যেদিন মধ্যমা কন্যা বাপের বাড়ি চলে যেত সেদিন অবশিষ্ট দুই সতিন, এই দুই পােলিটিকাল ally-দের মধ্যে চুলােচুলি বেধে উঠত।”
(কালান্তর-পৃঃ ২৩৮)
★★ রবীন্দ্রনাথের এ মতটা তাকে গান্ধীর চেয়েও প্রতিক্রিয়াশীল করে তুলেছে, একেবারে তাকে সাভারকরের দীক্ষাগুরুতে পরিণত করেছে।★★
তবে ভারতবর্ষের হবে কি? উপায় একমাত্র ভগবানের নিকট প্রার্থনা।
“ভারতবর্ষের সেই পুরাতন প্রার্থনাকে আজ আবার সমস্ত প্রাণমন দিয়ে উচ্চারণ করবার সময় এসেছে, শুধু কণ্ঠ দিয়ে নয়, চিন্তা দিয়ে, কর্ম দিয়ে, শ্ৰদ্ধা দিয়ে, পরস্পরের প্রতি ব্যবহার দিয়ে : যঃ একঃ অবর্ণ, যিনি এক এবং সকল বর্ণভেদের অতীত, স না বুদ্ধ্যা শুভয়া সংযুনক্তু, তিনিই আমাদের শুভবুদ্ধি দিয়ে পরস্পর সংযুক্ত করুন।” (কালান্তর-পৃ: ২৪৪ )
◆◆সামাজিক, রাজনৈতিক ও দার্শনিক মতবাদে রবীন্দ্রনাথ প্রকৃতপক্ষে বিবেকানন্দেরই উত্তরাধিকারী।◆◆
রবীন্দ্রনাথের দার্শনিক ও রাজনৈতিক মত যে শ্রেণী সমাজের অনুকূল মত তা একেবারে দিনের আলোর মত স্পষ্ট হয়ে ওঠে জমিদারি প্রথা সম্বন্ধে তাঁর মতামত দেখলে। প্রমথ চৌধুরীর 'রায়তের কথা’র জবাবে তিনি যা লিখেছেন তা পড়লে তাকে আর কেউ টলস্টয়ের সঙ্গে তুলনা করবেন না। ‛রায়তের কথা’য় রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন :
"আমার জন্মগত পেশা জমিদারি, কিন্তু আমার স্বভাবগত পেশা আসমানদারি। এই কারণেই জমিদারির জমি আঁকড়ে থাকতে আমার প্রবৃত্তি নেই। এই জিনিসটার 'পরে আমার শ্রদ্ধার একান্ত অভাব। আমি জানি, জমিদার জমির জোঁক, সে প্যারাসাইট, পরাশ্রিত জীব। ( কালান্তর-পৃঃ ২৯৭)
এইটুকু পড়ে মনে হয় রবীন্দ্রনাথ খুব প্রগতিশীল। জমিদারকে বলছেন প্যারাসাইট। কিন্তু তার পর মুহূর্তে কি বলছেন শুনুন:-
“এমন জমিদারি ছেড়ে দিলেই ত হয় ? কিন্তু, কাকে ছেড়ে দেব? অন্য এক জমিদারকে ? গােলাম চোর খেলায় গােলাম যাকেই গছিয়ে দিই, তাব দ্বারা গােলাম-চোরকে ঠেকানো হয় না। প্রজাকে ছেড়ে দেব? তখন দেখতে দেখতে এক বড়াে জমিদারের জায়গায় দশ ছােট জমিদার গজিয়ে উঠবে।...তুমি বলেছ, জমি চাষ করে যে জমি তারই হওয়া উচিত। কেমন করে তা হবে জমি যদি হয় পণ্য দ্রব্য, যদি তার হস্তান্তরে বাধা না থাকে? (কালান্তর-পৃঃ ২৯৮)
যেহেতু জমি পণ্য দ্রব্য সুতরাং কৃষককে জমি দিলেও তা থাকবেনা। সুতরাং মার্কসবাদীর লক্ষ্য হচ্ছে—সমাজতন্ত্র, সমাজতন্ত্রে পৌছতে হলে পয়লা নম্বর জমিদারি খতম করে কৃষককে জমি দিতে হবে।
কিন্তু সমাজতন্ত্র রবীন্দ্রনাথের দর্শনের বিরোধী তাই পণ্য বিনিময় ব্যবস্থা তাঁর মতে চিরস্থায়ী ব্যবস্থা, সুতরাং পণ্যের মত জমি বিক্রি হবেই, আর তা যদি হয় তবে জমিদারি প্রথা তুলে দিয়ে লাভ নেই। এ বিষয়ে তার মূল কথাটা হােল এই :
“মূল কথাটা হল এই—রায়তের বুদ্ধি নেই, বিদ্যা নেই, শক্তি নেই, আর ধনস্থানে শনি। তারা কোন মতে নিজেকে রক্ষা করতে জানে না। তাদের মধ্যে যারা জানে তাদের মতাে ভয়ংকর জীব আর নেই। রায়ত খাদক রায়তের ক্ষুধা যে কত সর্বনেশে তার পরিচয় আমার জানা আছে। তারা যে প্রণালীর ভিতর দিয়ে স্ফীত হয়ে জমিদার হয়ে ওঠে তার মধ্যে শয়তানের সকল শ্রেণীর অহুচরেরই জটলা দেখতে পাবে। (কালান্তর-পৃঃ ৩০০ )
গরীব কৃষককে 'কাকের ভয়' দেখিয়ে রবীন্দ্রনাথ জমিদারি প্রথা সমর্থন করছেন। টলস্টয় অন্তত কৃষক-গণতন্ত্র বা ইউটোপিয়ান সােশালিজম-এর ভক্ত ছিলেন, কিন্তু রবীন্দ্রনাথ সামাজিক গণতন্ত্রের বিরোধী। কুলাকের শােষণের বিরুদ্ধে রবীন্দ্রনাথের যদি সত্যসত্যই সৎ অভিযােগ থাকত, তবে তিনি সমাজবাদ প্রচার করতেন। অন্তত টলস্টয়ের মত ইউটোপিয়ান সােশালিজম-এর কথা বলতেন। কিন্তু উপনিষদের দার্শনিক সম্পূর্ণ ভিন্ন সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন ―সে সিদ্ধান্ত হল এই :
“কিন্তু এসব গেল খুচরাে কথা। আসল কথা, যে মানুষ নিজেকে বাঁচাতে জানে না কোন আইনই তাকে বাঁচাতে পারে না। নিজেকে এই-যে বাঁচাবার শক্তি তা জীবনযাত্রার সমগ্রতার মধ্যে, কোনাে-একটা খাপছাড়া প্রণালীতে নয়। তা বিশেষ আইনে নয়, চরকায় নয়, খদ্দরে নয়, কংগ্রেসে ভােট দেবার চার-আনা-ক্রীত অধিকারে নয়। পল্লীর মধ্যে সমগ্রভাবে প্রাণ সঞ্চার হলে তবেই সেই প্রাণের সম্পূর্ণতা নিজেকে প্রতিনিয়ত রক্ষা করবার শক্তি নিজের ভিতর থেকেই উদ্ভাবন করতে পারবে।” (কালান্তর—পৃ: ৩৩)
রবীন্দ্রনাথ সারা জীবন ধরে যে সাহিত্য সৃষ্টি করে গেছেন তার মূল কথা হােল এই “প্রাণের সম্পূর্ণতা”। শোষিত জনগণের গণতান্ত্রিক সংগ্রামের বিরুদ্ধে এযে কত শক্তিশালী হাতিয়ার তা বােঝা যায় এই উজ্জল দার্শনিক তত্বকে শ্রেণী সমস্যার সমাধানে যে কাজে তিনি লাগিয়েছেন তাই দেখে। রবীন্দ্র দর্শন এবং রবীন্দ্র সাহিত্যের ভিতরকার কথাই হােল এই—সংসারের দুঃখ কষ্ট জালা যন্ত্রণা শােষণ অবিচার অত্যাচার এ সমস্তের বিরুদ্ধে নিস্ফল প্রতিবাদ করে লাভ নেই, প্রাণের সম্পূর্ণতা ছাড়া শশাষিত মানুষের মুক্তির কোন উপায় নেই, তাই কোন শােষণ ব্যবস্থা উচ্ছেদ করার প্রচেষ্টা অত্যন্ত অন্যায়। এই দার্শনিক মতই কাব্যরস আকারে তিনি বুদ্ধিজীবীদের কাছে পরিবেশন করেছেন। এই প্রতিক্রিয়াশীল মতবাদের সঙ্গে টলস্টয়ের মতবাদের তুলনা করা মন্ত ভুল।
প্রগতিশীল মতবাদের বিরুদ্ধে রবীন্দ্রনাথের দার্শনিক মতবাদ কি পরিমাণ ক্ষুরধার ছিল তা তার নিম্নলিখিত উক্তি থেকে বােঝা যায়।
"রাশিয়ার জারতন্ত্র ও বলশেভিক-তন্ত্র একই দানবের পাশমােড়া দেওয়া । পূর্বে যে ফোড়াটা বা হাতে ছিল আজ সেটাকে ডান হাতে চালান করে দিয়ে যদি তাণ্ডব নৃত্য করা যায়, তাহলে সেটাকে বলতেই হবে পাগলামি। যাদের রক্তের তেজ বেশী, এক-এক সময়ে মাথায় বিপরীত রক্ত চড়ে গিয়ে তাদের পাগলামি দেখা দেয় কিন্তু সেই দেখাদেখি নকল পাগলামি চেপে বসে অন্য লোকের, যাদের রক্তের জোর কম। তাকেই বলে হিস্টিরিয়া। আজ তাই যখন শুনে এলুম সাহিত্য ইশারা চলছে মহাজনকে লাগাও বাড়, জমিদারকে ফেলাে পিষে,' তখনি বুঝতে পারলুম, এই লালমুখো বুলির উৎপত্তি এদের নিজের রক্ত থেকে নয়। এ হচ্ছে বাঙালীর অসাধারণ নকল নৈপুণ্যের নাটা, ম্যাজেন্টা রঙে ছােপানাে, এর আছে উপরে হাত-পা ছোড়া, ভিতরে চিত্তহীনতা।” (কালান্তর- পৃ: ২৯৭)
বাংলার উদীয়মান প্রগতি সাহিত্য রবীন্দ্রনাথের কাছে “নকল নৈপুণ্যের নাট”, গণতান্ত্রিক সংগ্রাম তার কাছে "হিস্টিরিয়া", সমাজতন্ত্রের সংগ্রাম একটা “পাগলামি”।
★★১৮৭৫ সালের পর থেকে ভারতে যে নবীন বুর্জোয়া শ্রেণীর উদয় হল, রবীন্দ্রনাথ তাদের প্রতিনিধি। সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে তাদের যতখানি দ্বেষ ছিল, রবীন্দ্রনাথের শিক্ষায় তা ফুটে বেরিয়েছে। কিন্তু সেই সঙ্গে সঙ্গে এই তরুণ বুর্জোয়া শ্রেণীর সমস্ত দুর্বলতাই প্রতিফলিত হয়েছে রবীন্দ্রনাথের শিক্ষায়। সাম্রাজ্যবাদের সঙ্গে আপলে অর্থনৈতিক সুবিধা লাভ, গণসংগ্রামের প্রতি বিমুখতা, সমাজের গণতান্ত্রিক পরিবর্তনে অক্ষমতা এমন কি জমিদারি প্রথা বাঁচিয়ে রেখে ফিউডালিজম-এর সঙ্গে আপস এবং সর্বোপরি হিন্দু-রিভাইভালিজম।★★
◆◆রবীন্দ্র দর্শনই ভারতীয় শাসকশ্রেণীর দর্শন। রবীন্দ্র দর্শনকে আক্রমণ করতে হবে শাসকশ্রেণীকে পরাস্ত করার জন্য। রবীন্দ্র সাহিত্যের সঙ্গে মার্কসবাদের বিরােধ এত প্রচণ্ড যে প্রগতির শিবিরে তার স্থান হতে পারে না। রবীন্দ্র সাহিত্য হােল প্রগতির শিবির থেকে মানুষ ভুলিয়ে বের করে নিয়ে যাবার মােহিনী মায়া।
ভারতের ইতিহাসে রামমােহন-বঙ্কিম-রবীন্দ্রনাথ যে ধারাকে পরিপুষ্ট করেছেন তা প্রগতিশীল ধারা নয় বরং তার উল্টো ধারা।◆◆…”
বিঃ দ্রঃ উদ্ধৃতাংশ অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বক্তব্যগুলির সোর্স ঠিক কিন্তু নির্ভুল নয়। পৃষ্ঠাসংখ্যার গোলমাল আছে শুধু।
কুৎসা করা হয়েছে না সমালোচনা করা হয়েছে। প্রকারান্তরে কুৎসা করা হয়েছে ভবানী সেনকে, এই প্রবন্ধটির শিরোনাম দিয়ে! আমার মনে হয় ভবানী সেন ভুল কিছুই বলেননি!
উত্তরমুছুনরবীন্দ্রনাথ যে কথাগুলো বলেছিলেন সেগুলো যদি বাঙ্গালী হিন্দুরা বুঝতে সক্ষম হত এবং এই কমুনিজমের শূন্যগর্ভ আস্ফালন বুঝতে পারত তবে আজ রাষ্ট্রবিহীন রিফুইজি হতোনা।
উত্তরমুছুন