আনিস খানের ফেসবুক এবং কিছু স্মৃতিচারণ...
মারা গেছেন আনিস খান। কেন? জানা নেই। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থেকে পরকীয়া প্রেম, সবকিছুই হতে পারে।
কিভাবে? জানা নেই। খুন থেকে আত্মহত্যা, সবকিছুই হতে পারে।
একজন মার্ক্সবাদী মুসলিমের মৃত্যুতে আমরা দুঃখিত। ঠিক ততটাই, যতটুকু দুঃখিত তাঁরা ভারতের কমলেশ তিওয়ারীর মৃত্যু থেকে ফ্রান্সের শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটির মৃত্যুতে হয়ে থাকেন।
আমাদের ভোট পেতে হয় না। তাই ন্যাকামার্কা সুশীলতার প্রয়োজন আমাদের নেই। তাই এই সময়েই কিছু অপ্রিয় প্রসঙ্গ তোলা যাক। মৃত্যু হলে সবাই ভালো হয়ে যায় বা মৃত ব্যক্তিকে নিয়ে আলোচনা করতে নেই জাতীয় বক্তব্যে আমরা বিশ্বাস করি না। এতএব এইসব হ্যাজ দেবেন না কমেন্টবক্সে। দিলেও আমাদের মানসিকতার কোনোরকম পরিবর্তন আশা করবেন না।
যাইহোক, মৃত্যুর পরে বাম ব্রিগেড থেকে বারবার বলা হচ্ছে মৃত ব্যক্তি একেবারে নিরপেক্ষ মেহনতি মানুষের প্রতিভূ। সমাজকর্মী এবং ব্লা ব্লা ব্লা...
সে বলুন। বাম ব্রিগেড অনেক কিছুই বলে থাকেন। কান দিতে নেই। তবে সবচেয়ে হাস্যকর লাগছে কিছু সুশীল হিন্দুত্ববাদী নামধারী প্রোফাইলের ছাগলের তৃতীয় সন্তানের মতো কান্নাকাটি দেখে।
যাই হোক, মৃত ভদ্রলোকের ফেসবুক এখনো লাইভ। খুঁজে দেখা যাচ্ছে ভদ্রলোক কাশ্মীর নিয়ে টিপিক্যাল বিচ্ছিন্নতাবাদীদের মতো হ্যাজ দিয়েছেন আগেই। দেখুন।
সরস্বতী পূজার বিপক্ষে এবং হিজাবের সমর্থনে সদ্যই পোস্ট করেছেন। দেখুন।
সংবিধানের বদলে কোরআন আনার কথা বলেছেন। দেখুন।
এই দেশের বিরুদ্ধে হিংসাত্মক পোস্ট দিয়েছেন। দেখুন
হিন্দুদের বিশ্বাস না করার কথা বলেছেন। এখানে।
এবং অবশ্যই আদিবাসী সমাজকে উসকানোর কাজ চালিয়ে গেছেন। উদাহরণ
এমত অবস্থায় এক ভদ্রলোকের কথা মনে পড়ে যাচ্ছে। তিনিও এই আনিস খানের মতোই কম্যুনিস্ট মুসলমান। নাম সাজ্জাদ জাহির। পরিস্কারভাবে দাবী তোলেন যে জায়গায় মেজরিটিতে আছে মুসলিমরা, তাদের নিজের ফিউচার গঠনের স্বাধীনতা দেওয়া হোক।
“এটা কি বিশ্বাসযোগ্য যে পাঠান, বালোচ, সিন্ধি অথবা পাঞ্জাবি মুসলিমদের স্বাধীন ভারতে তাদের ইচ্ছের বিরুদ্ধে রাখা সম্ভব?”
(A Case for Congress Leage Unity, Sajjad Zaheer, Page 11)
এই যেমন ড্যানিয়েল লাতিফি। পাঞ্জাবের উচ্চস্তরের কমিউনিস্ট মুসলিম নেতা। কমিউনিস্ট পার্টির মদতেই তিনি যোগ দিলেন মুসলিম লীগে। এবং পরবর্তী সময়ে পাঞ্জাবে লীগের অফিস সেক্রেটারি হলেন। পাকিস্তান প্রস্তাব popularization এবং লীগের পাঞ্জাব নির্বাচনে তাঁর অবদান অসামান্য।
বাংলার একটা ঘটনা বলা যাক। বর্ধমানের লীগ নেতা আব্দুল হাসিমের কেস স্টাডি। ১৯৪৪ সাল। মৌলানা আক্রম খান ও তাঁর সন্তানের সঙ্গে লীগ সেক্রেটারি আব্দুল হাসিম দেখা করলেন পিসি জোশীর সঙ্গে, কমিউনিস্ট পার্টি অফিসে। CPI পার্টি অফিসে সেদিন সমস্ত নেতা হাসিমের কর্তৃত্ব মেনে নিলেন নতমস্তকে (Figuratively). এর পর থেকে কমিউনিস্টরা প্রচার করতে শুরু করলেন মুসলিম লীগ আসলে একটি “ডেমোক্রেটিক এবং প্রোগ্রেসিভ পার্টি”।
(In Retrospection, Abdul Hasim, page 28-40)
বঙ্গে কমিউনিস্ট এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী মুসলিমদের সেই যে বন্ধুত্ব অফিসিয়ালি শুরু হয়েছিল, আজও তা সমানে বহমান...
তথ্যসূত্র:
1. In Retrospection, Abdul Hasim
2. For the final bid for power, P. C. Joshi
3. A Case for Congress Leage Unity, Sajjad Zaheer
4. The Sickle and the Crescent, Sunanda Sanyal and Soumya Basu
মর গ্যায়া মাদারটোস্ট��
উত্তরমুছুন