ভগৎ সিং ও কিছু অনালোচিত লেখার ভাবানুবাদ

 

পাঞ্জাবী ভাষা এবং লিপির সমস্যা

~ভগৎ সিং

(বিশেষ কিছু অংশের ভাবানুবাদ)

[The problem of Punjabi language and script, Bhagat Singh]


📌

"শতাব্দীব্যাপী নিরবিচ্ছিন্ন সংগ্রামে লিপ্ত থাকা এবং মুসলিম অনুপ্রবেশের ফলে পাঞ্জাবের সাহিত্য একেবারে ম্লান হয়ে গেছে৷ হিন্দি ভাষা বিলুপ্তির চরম সীমায় পৌঁছে গেছে৷…… নিপীড়িতের জন্য সহমর্মিতা এবং সহায়তার আভাস আমরা পাই গুরু তেগ বাহাদুরের শিক্ষায়,


'বনহি জিন্দা দি পকড়িয়ে, সির দিজিয়ে বনহি না ছোড়িয়ে,

গুরু তেগবাহাদুর বোলেয়া, ধরতি পে ধরম না ছোড়িয়ে'

[‘बन्ही जिन्हां दी पकड़िए, सिर दीजिए बन्ही न छडिए,

गुरु तेगबहादुर बोल्या, धरती पै धरम न छोड़िए’]


গুরু তেগবাহাদুর বলছেন, পৃথিবীতে কখনো ধর্ম পরিত্যাগ কোরো না৷ এই উদ্দীপনার সাথেই বাবা বান্দা (বাহাদুর) এবং অন্যরা মুসলিম শাসকদের সাথে নিরন্তর লড়াই করেছিলেন৷ পরে যখন শিখদের একটি আইনভঙ্গকারী নৈরাজ্যবাদী দল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়, তারা বনে-জঙ্গলে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়৷ তখন নূতন কোন সাহিত্যসৃষ্টি সম্ভব হয় নি৷ মুসলিম শাসকদের বিরুদ্ধে তারা ত্যাগ, বীরত্ব এবং প্রকৃত যোদ্ধৃভাবের সাথে লড়লেও কোনরুপ ভবিষ্যত পরিকল্পনার সুযোগ তাদের ছিল না৷


📌বাঙ্গালায় স্বামী বিবেকানন্দ এবং পাঞ্জাবে স্বামী রামতীর্থ প্রায় একই সময়কালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন৷ দুইজনেই মহান এবং ভারতীয় দর্শনকে বহির্বিশ্বে প্রচারের জন্য খ্যাতিলাভ করেছেন৷ যেখানে, স্বামী বিবেকানন্দের মিশন বাঙ্গালায় একটি স্থায়ী প্রতিষ্ঠানরুপে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, সেখানে পাঞ্জাবে স্বামী রামতীর্থের কোন স্মারক নেই৷


 📌.….প্রথমত, মুসলিমদের দৃষ্টিভঙ্গি বিচার করতে হবে৷ তারা উর্দুর একনিষ্ঠ সমর্থক৷ বর্তমানে এই ভাষা পাঞ্জাবে সর্বাপেক্ষা প্রচলিত৷ আদালতের কাজকর্মও এই ভাষাতেই হয়৷ উর্দু স্ক্রিপ্ট কোনভাবেই সর্বোৎকৃষ্ট নয় এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো এটা ফার্সী ভাষা নির্ভর৷ উর্দু কবিদের কল্পনার দৌড়, যদি তারা হিন্দিও(ভারতীয়) লেখেন, পারস্যের সাকি (পানশালার নর্তকী), আরবের খেজুর গাছ অবধিই৷ কাজী নজরুল ইসলামের কবিতায় ধুর্জটি, বিশ্বামিত্র, দুর্বাসার প্রসঙ্গ প্রায়শই উঠে আসে৷ কিন্তু আমাদের পাঞ্জাবী হিন্দি-উর্দু কবিরা সেসব কখনো ভেবেও দেখেন না৷ এটা কি দুঃখজনক বিষয় নয়? ভারতীয়ত্ব এবং ভারতীয় সাহিত্য সম্পর্কে অজ্ঞতাই এর মুল কারণ৷ যদি তারা ভারতীয়ত্বকে গ্রহণই করতে না পারেন, তবে তাদের সাহিত্যসৃষ্টি আমাদের ভারতীয়ত্ব উপলদ্ধি করাবে কি ভাবে?


📌…..অন্যান্য প্রদেশের মত পাঞ্জাবেরও নিজস্ব ভাষার প্রয়োজন৷ কিন্তু মুসলিমরা উর্দুভাষা গ্রহণ করায়, ভাষাসংক্রান্ত প্রশ্নের এখনো সমাধান হয় নি৷ মুসলিমদের মধ্যে একেবারেই ভারতীয়ত্ব নেই৷ তারা আরবী হরফ(script) এবং ফার্সি ভাষা প্রসারের চেষ্টা করে৷ ভারতীয়ত্বের ধারনা বুঝতে অক্ষম হওয়ায় তারা, এক ভাষা যা অবশ্যই হিন্দি, তার গুরুত্ব বুঝতেও অক্ষম৷ সেই জন্যই তারা তোতাপাখির মত বারংবার তাদের উর্দু সংক্রান্ত দাবী তুলতে থাকে এবং বাকীদের সাথে দুরত্ব বজায় রাখে৷


 📌সমগ্র ভারতে ভারতীয় ভাষাসমুহ এবং  লিপিমালা প্রচলিত৷ এই পরিস্থিতিতে, মু.সলিম লেখকদের মধ্যে যারা উর্দুর সোচ্চার সমর্থক তারা আরবী ফার্সির বহুল প্রভাবমিশ্রিত উর্দু লেখেন বলে, আমরা বাকী ভারত থেকে নিজেদের বিচ্ছিন্ন করে নেবো? মুসলিম সংবাদপত্র যেমন, জমিনদার, সিয়াসত(রাজনীতি) এ গভীর আরবী প্রভাব আছে, যা সর্বসাধারণের পক্ষে দুর্বোধ্য৷ এই অবস্থায়, কিভাবে এটা বিস্তার লাভ করবে? আমাদের আন্তরিক ইচ্ছা যে আমাদের মুসলিম ভাইয়েরা যখন ধর্মের সাথেই জড়িয়ে থাকবেন, তখন নিজেদের ধর্মের ভারতীয়করণ করুন, তুর্কীর কামাল আর্তাতুকের মতো৷ ভাষার সাম্প্রদায়িকরণ না করে, আমাদের বৃহত্তর প্রেক্ষিতে ভাবতে হবে৷"


******


⭕১৯২৩ সালে পাঞ্জাব হিন্দি সাহিত্য সন্মেলন উপরোক্ত বিষয়ে একটি প্রবন্ধ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে৷ সেই প্রতিযোগিতায় ভগৎ সিং এই প্রবন্ধটি লেখেন৷ এটি সাহিত্য সন্মেলনের সাধারণ সম্পাদক শ্রী ভীম সেন বিদ্যালঙ্কারের অত্যন্ত মনঃপুত হয় এবং তিনি এই প্রবন্ধ গচ্ছিত রাখেন৷ ভগৎ সিং ৫০ টাকা পুরস্কার পান৷ এরপর, 'হিন্দি সনদেশ' পত্রিকায় ২৮ শে ফেব্রুয়ারী, ১৯৩৩ সালে এই প্রবন্ধ প্রকাশিত হয়৷ 


---------------


এইবার, কিছু জন তেড়ে আসবেন মুলত তিনটে যুক্তি নিয়ে৷ 


📌যুক্তি নং ১:- এটা ওনার কম বয়সের লেখা৷


⭕প্রতিযুক্তি:- এই প্রবন্ধ উনি লিখছেন ১৬-১৭ বছর বয়সে৷ ওনার ২৩ বছর বয়সে ফাঁসি হয়৷ অতএব সব লেখাই কুড়ি বছরের আশেপাশে৷ এবার সবগুলোকেই যদি কমবয়সের লেখা বলে নাকচ করে দেওয়া হয়, তবে গোটা মানুষটাকেই নাকচ করে দিতে হয়৷ 


📌যুক্তি নং ২:- উনি নিশ্চয়ই পরে এই ধারণা বদলেছিলেন৷


⭕প্রতিযুক্তি:- উনি পরেও প্রচুর লেখালিখি করেছেন৷ কিন্তু এই নির্দিষ্ট বিষয়ে তার ধারণা বদলেছে, উর্দুভাষীদের ভারতীয়ত্ব নিয়ে উচ্ছ্বাসে গদগদ হয়েছেন, তার কোন লেখায় এইরুপ ইঙ্গিত মেলে না৷


📌যুক্তি নং ৩:- উনি নাস্তিক ছিলেন৷ 'Why I am an atheist' নামক প্রবন্ধ লিখেছেন৷


⭕প্রতিযুক্তি:-এই লেখায় তেত্রিশ কোটি দেবতা বা কোন উপাস্যের নাম উল্লিখিত আছে যে আস্তিক্য-নাস্তিক্যের প্রসঙ্গ উঠছে? শিখ রীতি মেনে পাগড়ি পরা 'পাঞ্জাব দা পুত্তর' ভগৎ সিং তেগ বাহাদুরের বীরত্বে উচ্ছসিত হবেন, ভারতীয়ত্বকে সর্বাগ্রে রাখবেন৷ রিলিজিয়ান এবং ধর্মের এটাই তো পার্থক্য৷ শতবর্ষ প্রাচীন গুরুদোয়ারায় উপাসনারত ভক্তদের রক্ষা করতে বাইরে কৃপাণহাতে যিনি থাকবেন, তার প্রতি শ্রদ্ধাবনত হতে প্রতিবেলা পুজোপাঠ করা আস্তিক হতে হয় না, আইডেন্টিটির সেনানী হলেই চলে৷ ঈশ্বর আছেন কি নেই, সেটা আস্তিক-নাস্তিকের আলোচ্য বিষয় হতে পারে৷ কিন্তু সংস্কৃতি প্রবহমান নদীর মত, তাকে ধারণ করতে শুধুমাত্র ভারতীয়ত্ব থাকলেই চলে৷ 'Why I am an atheist' এ তিনি স্পষ্টতই লিখছেন, কেউ কেউ ভাবছেন আমি সদ্যই নাস্তিক হয়েছি৷ কিন্তু আমি এই বহুল পরিচিতির বহু আগে থেকেই ইশ্বরে অবিশ্বাসী৷ অতএব, তার ইশ্বরে অবিশ্বাসী মননের সাথে এই প্রবন্ধ সাংঘর্ষিক নয়৷ হতেই পারে, তিনি যখন এই প্রবন্ধ লিখছেন, তখন নাস্তিকই ছিলেন৷


----------


📌এবার, নিছক তর্কের জন্যই তর্ক করার খাতিরে গোটা লেখা জুড়ে কোথাও জাতিভেদের প্রশংসা না করা হলেও একদল খ্যাপা ষাঁড় তেড়ে আসবেন এই বলে, ভগৎ সিং লিখেছেন, পবিত্র বেদমন্ত্র শ্রবণের জন্য শূদ্রের কানে গরম সীসা ঢেলে দিতো তৎকালীন অত্যাচারী ব্রাহ্মণ সমাজ৷ তাদের সমস্যা হচ্ছে, ভগৎ সিং মুসলিম অনুপ্রবেশের কথা বলেছেন, মুসলিম অত্যাচারের কথা বলেছেন৷ অত্যন্ত ন্যায্যভাবে ব্রাহ্মণ্যবাদী অত্যাচারের কথা বলেছেন, ব্রাহ্মণ্যবাদী অনুপ্রবেশের কথা বলেন নি৷ তারা, যাবতীয় বজ্জাতি, চন্ডীমন্ডপে মোড়লগিরি, নিম্নবর্ণের মানুষদের প্রতি  অত্যাচার সবই ভারতে জন্মে ভারতে বসেই করেছে৷ কিন্তু, কিছুতেই মুসলিম আগ্রাসনের বিষয়টি নাকচ হচ্ছে না৷ অতঃপর, ভগৎ সিংয়ের ঘাড়ে বন্দুক রেখে মুলনিবাসী মীম ভীম এজেন্ডা কার্যকর করা যাচ্ছে না৷ আধা সত্যকথনে এমন ঝামেলায় বাম সুশীলদের বারবার পড়তে হবে৷


 

 📌ভারতীয় দর্শনকে বহির্বিশ্বে প্রচার করার জন্য ভগৎ সিং যার উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করছেন, তার মত নিঁখুত ইয়র্কারে উচ্চবর্নের কুপমন্ডুক জাতিগৌরবকে বোল্ড আউট করতে কেউই ( বিশেষত, অতি-অনতি বাম যাদের জোনাল থেকে সেন্ট্রাল জুড়ে শুধুই তথাকথিত উঁচুজাতের পদবীর ছড়াছড়ি) পারেন নি,


" আর্য বাবাগণের জাঁকই কর, প্রাচীন ভারতের গৌরব ঘােষণা দিন রাতই কর, আর যতই কেন তােমরা ডমমম্  বলে ডম্ফ কর, তােমরা উচ্চবর্ণেরা কি বেঁচে আছ? তােমরা হচ্ছ দশ হাজার বছরের মমি! যাদের চলমান শ্মশান বলে তােমাদের পূর্বপুরুষরা ঘৃণা করেছেন, ভারতে যা কিছু বর্তমান জীবন আছে, তা তাদেরই মধ্যে, আর চলমান শ্মশান হচ্ছ তােমরা। তােমাদের বাড়ী-ঘর-দুয়ার মিউজিয়াম। মনে হয় যেন ঠানদিদির মুখে গল্প শুনছি! তােমাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ আলাপ করেও ঘরে এসে মনে হয়, যেন চিত্রশালিকায় ছবি দেখে এলুম। এ মায়ার সংসারে আসল প্রহেলিকা, আসল মরু মরীচিকা তােমরা-ভারতের উচ্চ বর্ণের ! তােমরা ভূত কাল লুঙ-লঙ-লিট সব একসঙ্গে। বর্তমান কালে তােমাদের দেখেছি বলে যে বােধ হচ্ছে, ওটা অজীর্ণতা জনিত দুঃস্বপ্ন, ভবিষ্যতের তােমরা শূন্য, তোমরা ইৎ-লুপ-লুপ। স্বপ্নরাজ্যের লােক তােমরা, আর দেরি করছ কেন? ভূত-ভারত শরীরের রক্ত মাংসহীন কঙ্কালকুল তােমরা, কেন শীঘ্র শীঘ্র ধূলিতে পরিণত হয়ে বায়ুতে মিশে যাচ্ছ না? হুঁ, তােমাদের অস্থিময় অঙ্গুলিতে পূর্বপুরুষদের সঞ্চিত কতকগুলি অমূল্য রত্নের অঙ্গুরীয়ক আছে, তােমাদের পূতিগন্ধ শরীরের আলিঙ্গনে পূর্বকালের অনেকগুলি রত্নপেটিকা রক্ষিত রয়েছে, এতদিন দেবার সুবিধা হয় নাই। এখন ইংরেজ রাজ্যে -অবাধ বিদ্যাচর্চার দিনে উত্তরাধিকারীদের দাও, যত শীঘ্র পার দাও। তােমরা শূন্যে বিলীন হও, আর নূতন ভারত বেরুক, বেরুক লাঙল ধরে চাষার কুটীর ভেদ করে, জেলে, মালা, মুচি মেথরের ঝুপড়ির মধ্য হতে। বেরুক মুদির দোকান হতে, ভুট্টাওয়ালার উনুনের পাশ থেকে, বেরুক, কারখানা থেকে, হাট থেকে, বাজার থেকে। বেরুক ঝােপ জঙ্গল পাহাড় পর্বত থেকে, এরা সহস্র সহস্র বৎসর অত্যাচার সয়েছে, নীরবে রয়েছে—তাতে পেয়েছে অপূর্ব সহিষ্ণুতা। সনাতন দুঃখ ভোগ করেছে, তাতে পেয়েছে অটল জীবনীশক্তি। এরা একমুঠো ছাতু খেয়ে দুনিয়াটাকে উল্টে দিতে পারবে; আধখানা রুটি পেলে ত্রৈলােক্যে এদের তেজ ধরবে না; এরা রক্তবীজের প্রাণ সম্পন্ন। আর পেয়েছে অদ্ভুত সদাচার-বল যা ত্রৈলােক্যে নাই, এত শাস্তি, এত প্রীতি, এত ভালবাসা, এত মুখটি চুপ করে দিনরাত খাটা এবং কার্যকালে সিংহের বিক্রম!! অতীতের কঙ্কাল চায়! এই সামনে তােমার উত্তরাধিকারী ভবিষ্যৎ ভারত, ঐ তােমার রত্নপেটিকা, তােমার মাণিকের আংটি-ফেলে দাও এদের মধ্যে, যত শীঘ্র পার ফেলে দাও; আবার তুমি যাও হাওয়ায় বিলীন হয়ে যাও, অদৃশ্য হয়ে যাও কেবল কান খাড়া রেখাে; তােমার যেই বিলীন হওয়া, অমনি শুনবে কোটি জীমূতস্যন্দী ত্রৈলােক্যকম্পনকারী ভবিষ্যৎ ভারতের উদ্বোধন ধ্বনি-"ওয়াহ গুরু কি ফতে।”


*******


-ভারত বর্তমান ও ভবিষ্যত, স্বামী বিবেকানন্দের বাণী ও রচনা, ষষ্ঠ খন্ড


 📌পুনশ্চ:- রিভোলিউশানারী দলে যোগ দিয়ে বেদান্ত দর্শনে বিশ্বাসী শচীন্দ্রনাথ স্যানালকে (যার একমাত্র বই 'বন্দী জীবন' এর প্রথম পৃষ্ঠাতেই গাঢ় ইশ্বর বন্দনার বিবরণ), সোশালিজম এবং কমিউনিজম সম্পর্কে গভীর পড়াশোনা করা রাজেন লাহিড়িকে শ্রদ্ধাভাবে উপনিষদ ও গীতার শ্লোক আউড়াতে দেখেছেন৷ রামপ্রসাদ বিসমিল ছিলেন কট্টর আর্যসমাজী৷ কাকোরী ষড়যন্ত্র মামলায় ফাঁসির সাজাপ্রাপ্ত চারজনেরই শেষদিনগুলো কেটেছিলো ধর্মীয় প্রার্থনায়, লিখছেন ভগৎ সিং 'why I am an atheist' প্রবন্ধতেই৷ অতএব, ভারতের বিপ্লবী আন্দোলন বা বিপ্লবীর বৃহত্তর অংশ, মোটেই ধর্মের সাথে সম্পর্কশূন্য ছিলেন না৷


📌পু পুনশ্চ:- হিন্দু মহাসভার নেতা লালা রাজপত রাইয়ের হত্যার প্রতিশোধ নিতেই স্যান্ডার্ডকে হত্যা করে ফাঁসিতে যান ভগৎ সিং৷ এরপরও কি ভারতীয়ত্বের সামনে প্র্যাকটিসিং- নন প্র্যাকটিসিং, বিশ্বাসী অবিশ্বাসী এইসব প্রশ্ন ওঠে?

মন্তব্যসমূহ

  1. All the independence struggles were pro-Hindu. The greatest inspirer of all kind of strughlers(violent/non-violent), is an outright pro-hindutva novel ANANDAMATH(Vandemataram song is within that novel).

    উত্তরমুছুন
  2. আপনারা একটা ভালো ডোমেন কিনে ওয়েবসাইট টি সুন্দর করে গড়ে তুলুন । পেড থিম আমার আছে আছে যেটা আমি কিনেছিলাম আমি আপনাদের পেজে ম্যাসেজে শেয়ার করে দেব।

    উত্তরমুছুন
  3. বিপ্লবী ভগৎ সিং সম্ভবতঃ নাস্তিক নন, সংশয়বাদী ছিলেন ।

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন