পোস্টগুলি

এপ্রিল, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বামেদের বাৎসরিক #MeToo উৎসব, নম্বর ৭৮৬

ছবি
  বেলুড়ের মুসলিম শিক্ষক এবং আনন্দ বাজার পত্রিকার লেখক শামীম আহমেদের দিকে অভিযোগ উঠেছে ‘পাতানো মেয়ের’ সঙ্গে অভব্য আচরণের । না, নকশাল ও নারীবাদী মেয়েটির প্রতিও আমাদের বিশেষ কিছু সহানুভূতি নেই। তবে একটা প্রশ্ন আছে। এর আগেও বারবার হিন্দু বিদ্বেষের অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও রামকৃষ্ণ মিশনের শিক্ষা সংস্থার এক বড় পদে তিনি কিভাবে থাকছেন, সেটাই আশ্চর্যের। এবং এঁকে নিয়ে মিশন সমর্থক বা ভক্ত হিন্দুত্ববাদীদের হিরন্ময় নিরবতা বিশেষ আশ্চর্যজনক। যেখানে “হিন্দুত্বের পথ থেকে বিচলিত হওয়ার কারণে” খুব সহজেই মোদী ও অমিত শাহের মুণ্ডপাত করাটা আজকাল ফ্যাশন, সেখানে এক টিপিক্যাল হিন্দু বিদ্বেষী মানুষকে তোল্লাই দেওয়ার জন্য মিশন কর্তৃপক্ষকে দায়ী করা যাবে না কেন, এবং দায়ী করে সমালোচনা করলে কিভাবে ‘হিন্দু ঐক্য’ নষ্ট হবে, সেটা আমার বোঝার বাইরে... যাই হোক। আরও একটি খবর অনুযায়ী, ইউপির এক পরিবারের নয় কন্যার মধ্যে তিন কন্যাই আব্বুর বিরুদ্ধে যৌণ নির্যাতনের অভিযোগ এনেছেন। এবং গ্রেপ্তারও হয়েছেন সেই আব্বু।  এক মরু বর্বর বৌমাকে নিকাহ করেছিল। তাকে অনেকেই মহাপুরুষ টাইপের কিছু মনে করে আপনারা এইসব ঘটনার মধ্যে কী ক...

সিরিজ #SayNoToHalal : সূচনা

ছবি
 কারোর এঁটো খাওয়া আপনার স্বাধীনতা হতেই পারে, কিন্তু না খাওয়াও ইন্ডিভিজুয়ালের স্বাধীনতার মধ্যেই পড়ে। অর্থনৈতিক মনোপলির কথা ছাড়ুন,  আগে এই প্রশ্নের জবাব দিন, একজন প্র্যাকটিসিং মুসলিম কি একজন হিন্দু দেবতার প্রতি উৎসর্গীকৃত প্রসাদ সেবন করেন? তাহলে আল্লাহর প্রতি উৎসর্গীকৃত খাদ্য একজন প্র্যাকটিসিং হিন্দু যদি না খেতে চান, তাহলে তার বিরোধিতা করার অধিকার আপনার জন্মায় কিভাবে? হালাল মিট কোনোভাবেই ধর্মনিরপেক্ষ নয়। নির্দিষ্ট ইসলামিক নিয়ম  dhabīḥah   মেনেই পশুটিকে মারা হয়। ঠিক যেভাবে একজন মুসলিমের অধিকার আছে নিজস্ব রিচুয়াল মেনে হালাল মিট খাওয়ার, ঠিক সেভাবেই এক হিন্দুর অধিকার আছে ওই খাদ্য বয়কট করার।  It's so simple. 😊

মতুয়া সম্প্রদায় ও পদ্মবিলার কাজিয়া

ছবি
মহাপুরুষ শ্ৰীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর ফরিদপুর জেলার গােপালাঞ্জ মহকুমার সাফলীডাঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। পরে ওড়াকান্দি গ্রামেই তিনি বসবাস করতে শুরু করেন এবং সেটাই তাঁর লীলাক্ষেত্র হয়ে ওঠে। তিনি মতুয়া ধর্ম (হিন্দু ধর্মের অধীন) নামে একটি ধর্মমত প্রচার করেন। 🚩 শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর ছিলেন নমঃ সম্প্রদায়ের লােক। সেই কারণে তাঁর অনুগামিদের মধ্যে বেশির ভাগই ছিল নমঃ সম্প্রদায়ভুক্ত। অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষও তাঁর শিষ্য ছিল। শিষ্যরা তাঁকে অবতার জ্ঞানে পূজা করে থাকে। তাঁর পুত্র শ্রীশ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুরকেও শিষ্যরা শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের অংশরূপে পূজা করে থাকেন। তাঁরা দুজনেই সিদ্ধ পুরুষ ছিলেন। শিষ্যরা কীর্তন করতে করতে মাতোয়ারা হয়ে যেতো বলে শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর তাদের নাম দেন 'মতুয়া'। 🚩 ঠাকুর বাড়িতে দুর্গাপূজা, রাস উৎসব ও দোল উৎসব সহ সব হি.ন্দু উৎসব খুব জাকজমক করে পালিত হত। সব থেকে বড় উৎসব হত ঠাকুরের জন্মদিন বারুণীর স্নানের দিন। ঐ দিন লক্ষ লক্ষ ভক্ত শিষ্য জয়ডঙ্কা, কাঁসি বাজিয়ে, শিঙা ফুঁকিয়ে, হরি বোল, হরি বােল ধ্বনি দিতে দিতে আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে তুলত। ঠাকুরের দেওয়া লাল নিশান উড়িয়ে,...