মতুয়া সম্প্রদায় ও পদ্মবিলার কাজিয়া
মহাপুরুষ শ্ৰীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর ফরিদপুর জেলার গােপালাঞ্জ মহকুমার সাফলীডাঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
পরে ওড়াকান্দি গ্রামেই তিনি বসবাস করতে শুরু করেন এবং সেটাই তাঁর লীলাক্ষেত্র হয়ে ওঠে। তিনি মতুয়া ধর্ম (হিন্দু ধর্মের অধীন) নামে একটি ধর্মমত প্রচার করেন।
🚩
শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর ছিলেন নমঃ সম্প্রদায়ের লােক। সেই কারণে তাঁর অনুগামিদের মধ্যে বেশির ভাগই ছিল নমঃ সম্প্রদায়ভুক্ত। অন্যান্য সম্প্রদায়ের মানুষও তাঁর শিষ্য ছিল। শিষ্যরা তাঁকে অবতার জ্ঞানে পূজা করে থাকে। তাঁর পুত্র শ্রীশ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুরকেও শিষ্যরা শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের অংশরূপে পূজা করে থাকেন।
তাঁরা দুজনেই সিদ্ধ পুরুষ ছিলেন। শিষ্যরা কীর্তন করতে করতে মাতোয়ারা হয়ে যেতো বলে শ্রী শ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর তাদের নাম দেন 'মতুয়া'।
🚩
ঠাকুর বাড়িতে দুর্গাপূজা, রাস উৎসব ও দোল উৎসব সহ সব হি.ন্দু উৎসব খুব জাকজমক করে পালিত হত। সব থেকে বড় উৎসব হত ঠাকুরের জন্মদিন বারুণীর স্নানের দিন। ঐ দিন লক্ষ লক্ষ ভক্ত শিষ্য জয়ডঙ্কা, কাঁসি বাজিয়ে, শিঙা ফুঁকিয়ে, হরি বোল, হরি বােল ধ্বনি দিতে দিতে আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে তুলত।
ঠাকুরের দেওয়া লাল নিশান উড়িয়ে, জয় ঠাকুর, ধ্বনি দিতে দিতে নাচতে নাচতে লক্ষ লক্ষ ভক্ত ওড়াকান্দিতে জমায়েত হত। দূর দূরান্ত থেকে আসা ভক্তদের কোলাহলে ওড়াকান্দি তখন গমগম করত। সাত দিন ধরে মেলা বসত।
এই জয়ডঙ্কা, শিঙা, কাঁসি আর লাল নিশান সবই যুদ্ধের প্রতীক। এই নিশানের লাঠির উপরে আছে ছুঁচাল ফলা, যাতে দরকারের সময় তাকে অস্ত্র হিসাবে ব্যবহার করা যায়। এই যুদ্ধের ডাক স্বয়ং ঠাকুর দিয়ে গিয়েছেন অধর্মের বিনাশ ও ধর্মের প্রতিষ্ঠার জন্য। তারপর পদ্মবিলার কাজিয়ার সময়ে শ্রীশ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুর মতুয়াদের হাতে তুলে দিয়েছেন লাঠি। অন্যায় অত্যাচার আর অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবার হাতিয়ার হল সেই লাঠি।
🚩
পদ্মবিলার কাজিয়া:
সেটা ১৯২৩ সালের ঘটনা। ফরিদপুর জেলার ওড়াকান্দি গ্রামের কাছেই পদ্মবিল নামে একটি বিল ছিল। তার পাশের গ্রামের নাম ছিল পদ্মবিলা। সেই গ্রামে শুধু হিন্দুরাই বসবাস করত। পাশের গ্রামে ছিল মুসলমানদের বাস। ঘটনার সূত্রপাত হয় বিলের মাছ ধরা নিয়ে কয়েকজন হিন্দু ও কয়েকজন মুসলমানের কথা কাটাকাটির মধ্য দিয়ে। ফলে পরের দিন তারা হিন্দু গ্রাম আক্রমণের পরিকল্পনা করে এবং প্রস্তুতি নেয়।
এই খবর শুনে ওড়াকান্দির শ্রীশ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুর খুব চিন্তিত হয়ে পড়েন।
পরের দিন খবর এল যে, কাজিয়া করার জন্য মুসলমানরা প্রচুর সংখ্যায় বিলের কাছে জড়াে হয়েছে এবং যে কোন সময় তারা হিন্দু গ্রামে আক্রমণ করতে পারে।
সেদিন ছিল শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের জন্মদিন। ঐ দিন ওড়াকান্দিতে বারুণীর মান ও মেলা বসত। কাজেই মতুয়া সম্প্রদায়ের বহু হিন্দু সেদিন ওড়াকান্দিতে জড়াে হয়েছিল। শ্রীশ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুর তখন মতুয়া হিন্দুদের বীরের মতাে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আদেশ দিলেন।
সেদিন যে সব হিন্দু বীরেরা ঠাকুরের কাছে হিন্দুদের সুরক্ষার প্রতিজ্ঞা নিয়েছিলেন, ঠাকুর তাদের হাতে তুলে দিয়েছিলেন একটি করে লাঠি। লাঠি হাতে দিয়ে ঠাকুর বলেছিলেন—এই লাঠি এত কাল হিন্দুদের রক্ষা করেছে। আজও তা হিন্দুদের রক্ষা করবে।
তিনি নেতাদের উদ্বুদ্ধ করতে বলেছিলেন ডঙ্কার বাদ্যে যে "যুদ্ধ জয়, যুদ্ধ জয়" বাণী ধ্বনিত হচ্ছে তা তাে তােমরা নিজ কানেই শুনতে পাচ্ছ।
তারপর শ্রীশ্রী ঠাকুর হুঙ্কার দিয়ে বলে উঠলেন—আজ থেকে এই ডঙ্কার নাম হল 'জয়ডঙ্কা'।
ঠাকুরের আদেশ পেয়েই সেদিন হাজার হাজার মতুয়া রণহুঙ্কারে ওড়াকান্দির আকাশ বাতাস মুখরিত করে তুলল। তাড়াতাড়ি বারুণীর পুন্যস্নান সেরে সড়কির মাথায় লাল নিশান উড়িয়ে জয়ডঙ্কা ও কঁসি বাজিয়ে, কপালে লাল সিঁদুরের ফোটা দিয়ে, শিঙ্গা ফুঁকতে ফুঁকতে রণযাত্রা করল। 'জয় হরিচাঁদ গুরুচাঁদ ঠাকুর’, 'জয় মা কালী' বলে তারা শত্রুদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ল।
তাদের চরম প্রত্যাঘাতে শত্রুদের ব্যুহ ছিন্নভিন্ন হয়ে গেল। তারা পালাতে লাগলো। বীর মতুয়ারা পিছু তাদের গ্রাম পর্যন্ত ধাওয়া করে নিয়ে গেল। কিন্তু গ্রামে ঢুকে হিন্দুরা কোনাে অত্যাচার করেনি। কোনাে ঘরে আগুনও দেয়নি।
এই বিখ্যাত "পদ্মবিলার কাজিয়া"-য় কতজন শত্রু মারা গিয়েছিল তার হিসেব নাই। শত্রুদের তাদের গ্রাম পর্যন্ত তাড়িয়ে দিয়ে ফিরে আসার সময় মতুয়ারা দেখতে পান, শত শত শত্রুর দেহ মাঠে পড়ে আছে। তখন তিন চারজন মিলে এক একটি মৃতদেহ তাঁরা বয়ে নিয়ে আসেন এবং অনাবাদি বিলের ঘাসের চাটানের নিচে পুঁতে দেন। ঠাকুরের আশীর্বাদে সেদিন সমস্ত রাত ধরে বৃষ্টি হয় এবং বিলের জল ২/৩ হাত উঁচু হয়ে সব ঢাকা পড়ে যায়। ফলে পুলিশ এসে পরদিন আর কোনো চিহ্নই খুঁজে পায়নি।
🚩
শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুরের তিরােধানের পর তাঁর সুযােগ্য পুত্র শ্রীশ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুর মতুয়া সম্প্রদায়ের গুরু হন। এই সময় মতুয়া ধর্মের ব্যাপক প্রচার ও প্রসার ঘটে। শ্রীশ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুর মতুয়া ধর্ম প্রচারের সঙ্গে পিছিয়ে পড়া অনুন্নত ও অশিক্ষিত সমাজের মানুষদের শিক্ষিত ও উন্নত করতে আপ্রাণ চেষ্টা করেন। গ্রামে গ্রামে স্কুল প্রতিষ্ঠা, যাতায়াতের সুবিধার জন্য রাস্তা তৈরি, প্রত্যেক বাড়িতে পায়খানা তৈরি ইত্যাদি উন্নয়নমূলক কাজ কর্মের অঙ্গ ছিল। এ ছাড়া সর্বদা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন থাকার উপরও তিনি জোর দিতেন। ঠাকুর পূজা সহ অন্যান্য পূজা ও অনুষ্ঠানও তিনি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন ভাবে করার উপদেশ দিতেন। এইভাবে একদিকে তিনি ছিলেন ধর্মগুরু এবং অন্য দিকে সমাজ সংস্কারক। তাঁর আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলেই ঐ অঞ্চলের মানুষের মধ্যে শিক্ষা ও উন্নতিতে জাগরণ আসে। সঙ্গে সঙ্গে তার নামও চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়ে। সত্য কথা বলতে গেলে পূর্ববঙ্গের নমঃ সমাজের উন্নতির মূলে রয়েছে তাঁরই অবদান। ওড়াকান্দিতে তিনি শিক্ষার যে প্রথম প্রদীপটি প্রজ্জলিত করেছিলেন, কালে তার আলােতে বহুদূর আলােকিত হয়। তাঁর শিষ্যরা সেই আলাে দূর দূরান্তে তাদের নিজ নিজ গ্রামে নিয়ে যায়। ফলে সেই প্রত্যন্ত অন্ধকারাচ্ছন্ন গ্রামগুলােও শিক্ষার আলােতে আলেকিত হতে শুরু করে। তাঁর একক প্রচেষ্টার ফলেই নমঃ সমাজের মানুষেরা উন্নতির সুযােগ পায়। অনেককে পিছনে ফেলে এগিয়ে যায়। ধর্ম শিক্ষার সঙ্গে শ্রীশ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুর তার শিষ্যদের রাজনৈতিক উপদেশও দিতেন। তিনি তাদের বলতেন—"যে জাতির নাই রাজা, সে জাতি নয় তাজা"। "যার দল নাই, তার বল নাই"।
🚩
শ্রীশ্রীঠাকুরের কথায় লক্ষ লক্ষ মানুষ চলে, এ কথা শুনেই বিশিষ্ট পণ্ডিত মিশনারি পাদ্রী ডা. সি এস মিড ওড়াকান্দি এসে শ্রীশ্রী ঠাকুরের সঙ্গে দেখা করেন।
প্রথম জীবনে ডা. মিড পেশায় ছিলেন একজন ডাক্তার। শ্রীশ্রী ঠাকুর মহাশয়কে তিনি বলেন যে ঐ অনুন্নত ও অশিক্ষিত অঞ্চলে তিনি চিকিৎসার সুব্যবস্থা ও শিক্ষার আলাে ছড়িয়ে দিতে আগ্রহী। তিনি সেখানে একটি মিশন স্থাপন করে সেখানে একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও একটি হাইস্কুল গড়ে তােলার জন্য ঠাকুর মহাশয়ের অনুমতি ও সহযােগিতা প্রর্থনা করেন। আর এই মিশন স্থাপনের জন্য প্রয়ােজনীয় জমিও তিনি প্রার্থনা করেন।
ঠাকুর মহাশয় তাঁর প্রার্থনা মঞ্জুর করলেন এবং প্রয়ােজনীয় জমির ব্যবস্থা করে দিলেন। পরে সেই জমিতেই গড়ে উঠল একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও একটি হাইস্কুল।
সি এস মিড নিজেই সেই স্কুলের তদারকির ভার নিলেন। এই স্কুলে থেকেই শত শত ছাত্র বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকে এন্ট্রাস পাশ করে উচ্চ শিক্ষার সুযােগ পায়।
তাদের মধ্যে অনেকেই গ্র্যাজুয়েট, গেস্ট গ্রাজুয়েট এবং তারও ওপরের শিক্ষা গ্রহণ করে। ঠাকুর মহাশয়ের এক ছেলে সাব রেজিস্ট্রার হন। এক নাতি ভগবতী ঠাকুর ভক্টরেট হন (Phd.)। অন্য আর এক নাতি পি আর ঠাকুর ব্যারিস্টার এবং পরে মন্ত্রী হয়েছিলেন। ঠাকুর মহাশয়ের ওড়াকান্দি গ্রামেরই দুই জন বিলাত ফেরৎ ব্যারিস্টার ও একজন ডক্টরেট হন। অন্য আর এক জন বিলাত ফেরৎ ইঞ্জিনীয়ার এবং পরে শিবপুরের বেঙ্গল ইঞ্জিনীয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ হন। অন্য আর এক জন ব্যারিস্টার ও পরে বিচারক (জজ) হন। অন্যান্য বহু ছাত্র ঐ অঞ্চলে স্কুল স্থাপন করে যা স্কুলে শিক্ষকতা করে অনুন্নত সমাজকে উন্নতির পথ দেখান।
🚩
তবে যে উদ্দেশ্য নিয়ে মিড সাহেব ওড়াকান্দি এসেছিলেন এবং স্কুল স্থাপন করেছিলেন তাঁর সে আশা পূরণ হয়নি। ইংরাজী শিক্ষায় শিক্ষিত সে যুগের যুবকদের মধ্যে খ্রীস্টান ধর্ম গ্রহণ করার একটা ঝোঁক দেখা যায়। তাকে বাধা দিতে শ্রীরামমােহন রায়, ঠাকুর শ্রীশ্রী রামকৃষ্ণ, শ্রীশ্রী লােকনাথ ব্রহ্মচারী, শ্রীশ্রী জয় জগদবন্ধু, শ্রীশ্রী প্রণবানন্দ, ঠাকুর শ্রীশ্রী সত্যানন্দ, শ্ৰীশ্ৰী পাগলচাঁদ সহ অন্য অনেক মহাপুরুষেরা প্রচার চালান।
প্রকৃতপক্ষে ঐ অঞ্চলে খ্রীষ্টধর্মের প্রচার করতে এবং সেবার আড়ালে সেখানকার মানুষ জনকে খ্রীষ্টান করতেই মিড সাহেব ওড়াকান্দি এসেছিলেন।
🚩
কিন্তু শ্রী শ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুর মিড সাহেবকে নিজের নজরের সামনে বসিয়ে তাঁর সমস্ত প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে দেন।
রাজশক্তির আশীর্বাদ ও অর্থবলে বলীয়ান মিড সাহেব মিশন স্থাপনের মধ্যে দিয়ে অনেক দান-ধ্যান করেছিলেন। এ সব দান-ধ্যানের মূল উদ্দেশ্য ছিল ধর্মান্তরকরণ। এত চেষ্টা চালিয়েও মিড সাহেব ঐ অঞ্চলের একটি মাত্র পরিবারকে খ্রীষ্টান করতে পেরেছিলেন। তাঁর এই পরাজয় দেশে ফিরে যাবার আগে ঠাকুরের কাছে অকপটে তা স্বীকার করে যান। মিড সাহেবের আশা ছিল যে ঠাকুরের মতাে একজন গ্রাম্য মানুষকে তিনি সহজেই কাবু করতে পারবেন এবং সেই সঙ্গে সঙ্গে তাঁর অনুগত লক্ষ লক্ষ শিষ্যকেও ধর্মান্তরিত করতে পারবেন।
কিন্তু ঠাকুর যে ঐশী শক্তিতে বলীয়ান একজন খাঁটি হিন্দু ছিলেন তা বােঝার ক্ষমতা মিড সাহেবের ছিল না। শ্রীশ্রী ঠাকুরের ছিল হিন্দু ধর্ম দর্শনে গভীর জ্ঞান ও উপলব্ধি। সর্বোপরি তাঁর ছিল অবতারের গুণ ও মন। এবং তার সাহায্যেই তিনি হিন্দু ধর্ম ও সংস্কৃতিকে রক্ষা করেছিলেন।
🚩
হিন্দুত্ব ও হিন্দু সংস্কৃতিকে ইসলামের আক্রমণ থেকে রশ্ন করতে সঙ্কল্পবদ্ধ আর এক মহাপুরুষ তখন জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি হলেন ভারত সেবাশ্রম সঘের প্রতিষ্ঠাতা শ্রীশ্রী প্রণবানন্দ মহারাজ। তিনিও ফরিদপুর জেলার বাজিতপুরে জন্মগ্রহণ করেন। শ্রীশ্রী প্রণবানন্দ ও শ্রীশ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুর, দুজনেরই উদ্দেশ্য ছিল এক এবং অভিন্ন। তাই দুজনেই দুজনের সঙ্গে যােগাযােগ রক্ষা করে চলতেন। বিশেষ ভাবে আলােচনার জন্য স্বামী প্রণবানন্দ একাধিকবার ওড়াকান্দিতে এসে শ্রীশ্রী ঠাকুরের সঙ্গে মিলিত হন। একথা স্বামী বিজয়ানন্দজী রাণাঘাটের প্রকাশ্য জনসভায় জানিয়েছিলেন।
তথ্যসূত্র:
১) 'বাঙালির মুক্তিযুদ্ধে অন্তরালের শেখ মুজিব' : ডঃ কালিদাস বৈদ্য, কলকাতা বইমেলা ২০০৫ সংস্করণ, পৃষ্ঠা ৭২
২) 'Mind, Body, and Society: Life and Mentality in Colonial Bengal' : Oxford University Press
দাদা ফন্ট ভালো লাগে নি। এটা বদলালে ভালো লাগতো।
উত্তরমুছুন👍👍
উত্তরমুছুন