দ্বিমুখী নীরবতা
একটা একতরফা গণহত্যায় যারা দু তরফকেই আঙ্গুল উঁচিয়ে বকা দিয়ে সম্প্রীতি রক্ষা করতে যাচ্ছেন, তারা গণহত্যাকারীদের চেয়েও ঘৃণিত। মুর্শিদাবাদের ওয়াকফ পরবর্তী তাণ্ডবে একটাই পক্ষ। কেবল একটাই। যারা মেরেছে, লুঠ করেছে, হিন্দু বাঙালিকে দেশভাগ পরবর্তী উদ্বাস্তু জীবনের ফ্ল্যাশব্যাক দেখিয়েছে। তারা একটাই পক্ষ।
কোন Predator যখন Prey কে গিলে নেয়, তখন আপনি Prey কেন উড়ে যায় নি, বাগানে বসে বসে হাওয়া খাচ্ছিল ইত্যাদি বলে দোষ খুঁজতে যান?
যখন কোন মেয়ে নির্যাতিতা হয় তখন ইনিয়ে বিনিয়ে মেয়েটির দোষ খুঁজতে যান, বলেন দুপক্ষের বিবাদ মিটিয়ে নিন? আশা করি, বলেন না। তাহলে এক্ষেত্রেও বলবেন না।
আপনার মনে প্রশ্ন আসে না? গাজায় হামাসের নৃশংসতা দেখার পরও যারা ইজ্রায়েলকেই একমাত্র কালপ্রিট বলে দেয়, তারা একবস্ত্রে মুর্শিদাবাদের হিন্দু পরিবারগুলোকে পালাতে দেখে কেন এত ব্যগ্র হয় দুটো পক্ষ খুঁজে পাওয়ার জন্য? মুর্শিদাবাদের তান্ডবকে জাস্টিফাই করতে কেন বারবার লুপে ঘুরে ঘুরে গুজরাট দাঙ্গা আসে? আর গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে বলার সময় আসে না সন্দেশখালি, আসে না মুর্শিদাবাদ। কেন শরিয়তি ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে এককভাবে বলা যায় না ? বলা হয়, আমি অমুক, তমুক, শামুক, ঝিনুক সব মৌলবাদের বিরুদ্ধে। অথচ হিন্দুত্ববাদীদের বিরুদ্ধে বলার সময় শুধু হিন্দু মৌলবাদের বিরুদ্ধে।
সংখ্যাগুরুর মৌলবাদ নাকি সংখ্যালঘুর মৌলবাদের থেকে বেশি ভয়ানক, তাই দ্বিতীয়টা দেখবো না ইত্যাদি মহাজাগতিক থিওরি দেওয়া মহাসেকুলার গোষ্ঠী হয় ব্যাঙ্গালোর নাহয় নিউ জার্সিতে নিজেদের ধান্দা দেখে নিচ্ছে। থ্রি বিএইচকেতে বসে শ্রেণীসংগ্রাম করা জগতে সবচেয়ে সহজ কাজ।
কিন্তু নিজের ভিটেতে লাশ হয়ে পড়ে থাকা নিজের পরিবারকে দেখা কঠিন কাজ। বাকি আমি, আপনি, আমরা? যাদের মানসম্মান বাদ দিন, জলের ট্যাংকও নিরাপদ নয়। রাজ্য যখন জ্বলছে তখনও যারা ন্যাকা সম্প্রীতির ছবি শেয়ার করে দোতারা বাজাচ্ছে, তাদের গালগুলো পাঁচ আঙুলে রাঙিয়ে দিয়ে প্রশ্ন করুন, “মুর্শিদাবাদে একের পর এক বাউল ফকিরের আখড়া ভেঙ্গে যখন বাংলাদেশ থেকে শরিয়তি ফ্যাসিবাদ ইমপোর্ট করা হচ্ছিল, তখন কোথায় ছিলি রে?”
মালদার স্কুলগুলোতে অসহায় মা বোনদের মুখের দিকে চেয়ে নাহয় এই বেয়াড়া প্রশ্নটা করেই ফেলুন। কারণ নববর্ষে পোলাও মাংস খাওয়া বাদে আপনার তো বিশেষ কোন কাজ নেই। আমারও নেই।
অসাধারণ !! এই লেখা গুলোই নিজের বিবেককে তো প্রশ্ন করতে শেখায় প্রশ্ন করতে বাধ্য করে । 🔥
উত্তরমুছুনপশ্চিমবঙ্গের হেলদোলহীণ
উত্তরমুছুনপশ্চিমবঙ্গের হেলদোলহীণ পার্টি বাজ এবং অতি বোদ্ধা সেক্যু-মাকু মারানি বাঙ্গালি জনগন বিশেষকরে মহিলা ও যুব সমাজ যতদিন পর্যন্ত সচেতন হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত এই রাজ্যে প্রকৃত সুশাসন ও উন্নতি সম্ভব নয়।
মুছুনসাহসী পদক্ষেপ। ভরসা পেলাম।
উত্তরমুছুনপ্রতিবাদী হয়ে লাভ কি ? বিভিন্ন রূপে চুরির ভাগ তো পাওয়া যাচ্ছে
উত্তরমুছুনসশস্ত্র সংগ্রামের কান্ডারী হিন্দু বাঙ্গালী জাতি আজ ভুলে গেছে "বীরভোগ্যা বসুন্ধরা"। অর্বাচীন বিদেশীদের দাস খ্যক্স লেড়িন বাহিনী একটা জনজাতিকে শেষ করে দিয়েছে আর এখন সেই তরমুজেরা তার উত্তরসূরী।
উত্তরমুছুনপ্রতিবাদী হয়ে লাভ কি ? প্রতিবাদী হয়ে লাভ নেই, আপনার লড়াই আপনার, আপনাকে যেটা করতে হবে তা হলো - প্রতিহিংসা, মনে রাখবেন এই আইন শুধুমাত্র আপনাকে দমিয়ে রাখার আইন, একটা হিন্দুর বাড়ি পুড়লে পালিয়ে না গিয়ে দশটা ছুচলিমদের বাড়ি জ্বালান। আর কত খালি অনলাইনে প্রতিবাদ করবেন? পাড়ায় মুর্শিদাবাদের লুঙ্গি ফেরিওয়ালা ঢুকলে তাড়িয়ে দিন, অনেক হয়েছে শান্তি, শান্তি কখনো এক তরফ আসে না, শান্তি আসে অশান্তির মাধ্যমেই। বাড়িতে অস্ত্র রাখুন আর শুধু রাখবেনই না যখন প্রয়োজন হবে চালাতে পিছপা হবেন না।
উত্তরমুছুনপ্রাণী জগতের বেসিক ইন্সটিংক্টই হলো প্রাণ রক্ষা আর পাল্টা আক্রমণ। যখন প্রাণ, পরিবারের মেয়েদের সম্মান, ভিটে-মাটি নিয়েই সংশয় তখন খুন জেলে যাবার ভয় কিসের ? অস্ত্র উঠুক আর যতক্ষণ না শত্রুর রক্ত তাতে লাগছে ততক্ষণ যেন না নামে। সে শত্রু নারী হোক, পুরুষ হোক বা ১৪ বছরের বাচ্চাই হোক, মনে রাখবেন - বচ্ছে নহি হ্যায়, টাইম বম্ব হ্যায় সব।