পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

প্রান্তিক মানব

ছবি
  শুরু করতে চলেছি আমাদের নতুন সিরিজ #অন্ধকারের_দিনলিপি  এই সিরিজে আমরা উদ্বাস্তু সমস্যা নিয়ে লেখা বিখ্যাত বইয়ের কিছু অংশ তুলে ধরবো এবং লেখক ও বইয়ের সংক্ষিপ্ত পরিচয় দেবো। সম্ভব হলে ওই বইগুলো কোথা থেকে কিনতে পাওয়া যাবে তার সন্ধানও দেবো। (না, কোনো পেইড প্রমোশন নয়। আপনারা যেখানে ইচ্ছা সেখান থেকে কিনতে পারেন। ) প্রথম পর্বে আজ বলবো শিক্ষক ও গবেষক প্রফুল্লচন্দ্র সেনের লেখা “মার্জিনাল মেন” বা “প্রান্তিক মানব” বইটির কথা।  এ বইয়ের লেখক প্রফুল্ল চক্রবর্তী ছিলেন পেশায় শিক্ষক-গবেষক। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার অব্যবহিত আগে থেকেই যে অজস্র উদ্বাস্তু পশ্চিমবঙ্গে এসে আশ্রয় খুঁজছিলেন, তাঁদের হাল-হকিকত জানার জন্য ব্যস্ত ছিলেন বহুদিন থেকেই। ১৯৭৮ সালে তিনি উদ্বাস্তু শরণার্থীদের নিয়ে বই লেখার সিদ্ধান্ত নেন এবং স্বভাবতই প্রথমে খোঁজ পড়ে প্রামাণ্য রেফারেন্সের। বলা বাহুল্য যে, পশ্চিমবঙ্গে উদ্বাস্তু সমস্যা সত্তরের দশকেই প্রথম দেখা দেয়নি, স্বাধীনতার পর থেকেই পূর্ব পাকিস্তান থেকে বহু শরণার্থী চলে আসতে শুরু করেন। অথচ প্রায় তিরিশ বছরের ইতিহাসকে জানার জন্য তাঁর কাছে সাকুল্যে রেফারেন্স ছিল তিনটি – ১) হিরণ্ময় ...

বাঙ্গালী বামপন্থা ও পাকিস্তান প্রস্তাব

ছবি
কম্যুনিস্ট পার্টির বিখ্যাত নেতা প্রশান্ত শূরের বাবা নগেন্দ্রকুমার শূরকে নিজের হাতে নিজের কবর খুঁড়তে বাধ্য করেছিল পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) ‘এক বৃন্তে দুইটি কুসুম’-এর একটি ‘কুসুম’-এর দল। প্রশান্ত শূর পশ্চিমবঙ্গে চলে আসেন। কলকাতার মেয়র হন এবং পরবর্তীকালে পশ্চিমবঙ্গের মন্ত্রী হন।  কিন্তু, এই কমিউনিস্ট নেতা অন্যান্য অনেকের মতোই ডিনায়াল মোডেই থাকতেন। উদ্বাস্তু নিয়ে জ্ঞান দিতেন প্রচুর, সম্প্রীতির গল্পও করতেন। তবে তাঁর বাবার প্রসঙ্গ উঠলেই চুপ করে যেতেন। 😊 (১,২) *** “ভারতের মুসলমানরা এক স্বতন্ত্র জাতি”    স্যার সৈয়দ আহমেদ খান যখন দ্বিজাতিতত্ত্বের প্রবর্তন করেন, ‘কবি-দার্শনিক’ মুহম্মদ ইকবাল যখন ‘মুসলমানদের পৃথক ভূমি’ দাবি করেছিলেন; তাঁদের প্রত্যক্ষ সমর্থন করেছিল কমিউনিস্টরা। কমরেড মোহিত সেন তাঁর আত্মজীবনী ‘A Traveller and the Road’-এ এমনকি এও লিখেছেন যে, পাকিস্তান দাবীর পক্ষে মুসলিম লীগের চেয়েও ভালো ওকালতি করেছিল তাঁর নিজের দল, ভারতের কমিউনিস্ট পার্টি! কমিউনিস্ট পার্টি মনে করত মুসলিম লীগের তোলা পাকিস্তান দাবি ন্যায্য ও যুক্তিসঙ্গত। কারণ নাকি ওই দাবীর পেছনে রয়েছে ‘গরীব...

হিংসায় অধিকার

ছবি
  হিংসায় অধিকার: বিপ্লবী পুলিন দাস “গান্ধীর সহিত আমার সাক্ষাৎকারের কয়েকদিন পরের ঘটনা। একদিন সি. আর. দাসের বাড়ীতে গান্ধী কোনও বিষয়ে আলােচনায় রত ছিলেন। সেখানে অনুশীলন, যুগান্তর সমিতির কয়েকজন সভ্য, শ্রীশ চট্টোপাধ্যায় ও আরও কয়েকজন উকীল, কয়েকজন কংগ্রেস কর্মী এবং সৌকত আলী প্রমুখ কয়েকজন মুসলমান নেতাও উপস্থিত ছিলেন। রবি সেন ও অনুশীলন সমিতির অপর কয়েকজন সভ্যের সহিত আমিও তথায় উপস্থিত ছিলাম। সেই সময়ে গান্ধী মােফলা বিদ্রোহ ও মােফলাগণ কর্তৃক হিন্দুগণকে বলপ্রয়ােগ ও ভীতি প্রদর্শন দ্বারা মুসলমান করা সম্পর্কেই আলােচনা করিতেছিলেন। গান্ধী বলিতেছিলেন যে, মােফলাগণের অত্যাচারের অনেক ভয়াবহ বিবরণ তিনি পাইয়াছেন। কিন্তু গান্ধীর এই উক্তির প্রতি সৌকত আলী ও অপর কয়েকজন মুসলমান নেতা অবজ্ঞার ভাবই প্রকাশ করিলেন। গান্ধী অহিংসা নীতির গুণকীর্তনে রত হইলে একজন মুসলমান নেতা বলিয়া উঠিলেন, আমি আমার ধর্মের জন্য প্রয়ােজন হইলে কিন্তু অহিংস থাকিতে পারিব না। গান্ধী বলিলেন, হাঁ, হাঁ, আমি ত তােমাকে সেই অধিকার পূর্বেই দিয়াছি। তৎক্ষণাৎ একজন হিন্দু যুবক দাঁড়াইয়া বলিল, তবে আমরাও আমাদের ধর্মের জন্য প্রয়ােজন হইলে ...