পোস্টগুলি

ডিসেম্বর, ২০২০ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

পূর্ব পাকিস্তানে ১৯৬৪ সালের হিন্দু গনহত্যা

ছবি
  পূর্ব পাকিস্তানে ১৯৬৪ সালের হিন্দু গনহত্যা "হিন্দুদেরকে আগে ধরো- প্রাণে মেরো না, গায়ের চামড়াটা আস্তে আস্তে তুলে নাও, আমি সেটা দিয়ে জুতো বানাবো..........." - খুলনার কসাই আব্দুস সবুর খান দেশভাগের পরেও পূর্ব বঙ্গে সাহসী সংঘবদ্ধ নম:শূদ্র হিন্দু জনগোষ্ঠী খুলনা,ফরিদপুর অঞ্চলে প্রতিপত্তির সাথেই বসবাস করছিলো। যা কোনভাবেই পূর্ব পাকিস্তানের ইসলামী জনতা মেনে নিতে রাজী ছিলো না। কিভাবে এই মার্শাল রেস অফ বেঙ্গল(উইলিয়াম হান্টার এই নামকরণ করেছিলেন) তথাকথিত নিম্নবর্ণের হিন্দুদের সবংশে নিঃশেষ করা যায়,সেই সুযোগ খুঁজছিলো। অবশেষে,১৯৬৪ সালে কাশ্মীরের এক মসজিদে পয়গম্বরের চুল চুরি যাওয়ার গুজবকে কেন্দ্র করে,তাদের অভীষ্ট সিদ্ধি হয়। তৎকালীন পূর্ব-পাকিস্তানে বাঙ্গালী হিন্দুদেরকে জাতিগতভাবে নির্মূল করার জন্য তাদের উপর চালানো এক নিষ্ঠুর অমানবিক গনহত্যা ১৯৬৪ সালের পূর্ব- পাকিস্তান দাঙ্গা নামে পরিচিত। আজ সেই অভিশপ্ত ২৭ শে ডিসেম্বর। এই গনহত্যার একটি বিশেষ লক্ষণীয় দিক হল-ঢাকার এবং পূর্ব-বাংলার অন্যান্য শহরাঞ্চলের যে সব নির্দিষ্ট এলাকাতে হিন্দু জনগোষ্ঠী সংখ্যাবহুল সেখানে হত্যাযজ্ঞ চালানো হয় এবং হিন্দু মা...

'বুর্জোয়া' রবীন্দ্রনাথ ও কমিকথন

ছবি
 ‘বুর্জোয়া’ রবি ও কমিকথন... ***************************  'বুর্জোয়া কবি' তো সিন্ধুর বিন্দুমাত্র। চলুন, আজ কমরেড ভবানী সেনের লেখা এক বিখ্যাত প্রবন্ধের বিশেষ কিছু অংশ আপনাদের সামনে তুলে ধরি।  কিন্তু তার আগে 'ডেভিলস এডভোকেট' সেজে কিছু প্রশ্নোত্তর পর্ব সেরে নেওয়া যাক। ধৈর্য ধরে পড়বেন। কারণ পোস্টটি দীর্ঘ হবে। তবে রসিক বন্ধুরা হতাশ হবেন না; কথা দিচ্ছি। চলুন, শুরু করা যাক। **** 📌প্রশ্ন: 'ভবানী সেন' কী পার্টির কোনো গুরুত্বপূর্ণ নেতা ছিলেন? নাকি নেহাত কোনো পার্টিকর্মীর 'ব্যক্তিগত' মন্তব্যের দায় চাপানো হচ্ছে বাম বিদ্বেষের কারণে? 🚩উত্তর: প্রথাগত রাজনৈতিক পরিচয় পেয়ে যাবেন আপনারা উইকিপিডিয়ায় । ওইসব নিয়ে আর বেশি লিখবো না। আমরা বিচার করবো বামপন্থী তাত্ত্বিকতার ময়দানে তাঁর গুরুত্ব কতটা।  কমিউনিস্ট পার্টির দ্বিতীয় কংগ্রেসের প্রস্তুতি হিসেবে একটি রাজ্য-সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় এবং সাংস্কৃতিক ফ্রন্টের কাজকর্ম পরিচালনার জন্য নতুনভাবে 'প্রাদেশিক সাংস্কৃতিক সাব-কমিটি' গঠিত হয়। সেই কমিটিতে ছিলেন গােপাল হালদার, নীরেন্দ্রনাথ রায়, হীরেন্দ্রনাথ মুখােপাধ্যায়, মানিক বন্দ্যোপ...

বিজয় দিবস: কে বিজয়ী? কে বিজিত?

ছবি
  ".....দেখিতে পাও না তুমি মৃত্যুদূত দাঁড়ায়েছে দ্বারে, অভিশাপ আঁকি দিল তােমার জাতির অহংকারে…..." অপমানে হতে হবে সবার সমান ঢাকা শহরের প্রায় ফাঁকা রাস্তায় ঠেলাগাড়ি নিয়ে বের হয়েছে আসগর আলি এবং তার পুত্র মজনু মিয়া।  পরনে কালাে রঙের প্যান্ট। গা খালি। তবে মাথায় কিস্তি টুপি আছে। মজনু মুসলমান এই পরিচয়ের জন্যে মাথার টুপি বাঞ্ছনীয়। পঁচিশে মার্চের পর আসগর দাড়ি রেখেছে। লােকমুখে শােনা যাচ্ছে মুখে দাড়ি আছে, কলমা জানে এরকম সাচ্চা মুসলমানদের মিলিটারিরা কিছু বলে না। চড়-থাপ্পড় দিয়ে ছেড়ে দেয়। এই খবর প্রচারিত হবার ফলে অনেক হিন্দুও দাড়ি রেখেছে। বাইরে বের হবার সময় তারা মাথায় গােলটুপি দেয়। কানের ভাঁজে আতর মাখানো তুলা থাকে। এখন অবশ্যি মিলিটারিরা চালাক হয়ে গেছে। দাড়ি এবং টুপিতে কাজ হচ্ছে না। খৎনা হয়েছে কি-না, লুঙ্গি খুলে দেখাতে হচ্ছে। আসগর আলি তার ছেলেকে নিয়ে চিন্তিত। তার খৎ্না এখনাে হয় নাই। মিলিটারির হাতে ধরা পড়লে কোন ঝামেলা হয়- এই চিন্তায় আসগর অস্থির হয়ে থাকে। চার কলমা বাপ-বেটা কারােরই মুখস্থ নাই । আসগর আলি একটা কলমা জানে। কলমা তৈহিদ। লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর ...

বামপন্থীদের রবীন্দ্র কুৎসা: কমরেড ভবানী সেন।

ছবি
কমরেড ভবানী সেন মার্ক্সবাদী পত্রিকায় (পঞ্চম সংকলন, ১৯৪৯, পৃ. ১২৫-১৭২) রবীন্দ্রনাথ নিয়ে যে কুৎসা করেছিলেন তার বিশেষ কিছু অংশ দেখে নেওয়া যাক:― “...রবীন্দ্রনাথের সুদীর্ঘ জীবনে এই রাজনৈতিক ধারণার কোন মৌলিক পরিবর্তন হয় নি। রাষ্ট্রীয় গণসংগ্রাম মাঝে মাঝে তার মনের উপর রেখাপাত করেছে, বৃটিশ শাসনের অত্যাচারের বিরুদ্ধে তিনি মাঝে মাঝে প্রতিবাদ জ্ঞাপন করেছেন, কিন্তু রাজনীতিক্ষেত্রে তাঁর দর্শন ছিল ‛গঠনমূলক কাজ’, তাই সবসময়ই তিনি ছিলেন কংগ্রেসের বামপন্থীদের বিরােধী। এবার দেখা যাক রবীন্দ্রনাথের দার্শনিক মতটা কি ছিল:― "মানুষের গভীরতম ঐক্যটি যেখানে, সেখানে কোন সংজ্ঞা পৌছতে পারে না-কারণ সেই ঐক্যটি জড়বস্তু নহে তাহা জীবনধর্মী। সুতরাং তাহার মধ্যে যেমন একটা স্থিতি আছে তেমনি একটা গতিও আছে। কেবলমাত্র স্থিতির দিকে যখন সংজ্ঞাকে খাড়া করিতে যাই তখন তাহার গতির ইতিহাস তাহার প্রতিবাদ করে কেবলমাত্র গতির উপরে সংজ্ঞাকে স্থাপন করাই যায় না, সেখানে সে পা রাখিবার জায়গাই পায় না।” (পরিচয়, রবীন্দ্র রচনাবলী-১৮শ খণ্ড, পৃঃ ৪৬৭ )  অর্থাৎ উপনিষদের মায়াবাদ হল রবীন্দ্র দর্শনের সারমর্ম। এই দর্শনই শ্রেণীসংগ্রাম...

বাঙ্গালায় আরব সাম্রাজ্যবাদ

ছবি
"কারা মোদের ঘর ভেঙেছে, স্মরণ আছে........" হায়দ্রাবাদের রাজাকরটি অধিক বিপদসূচক সমৃদ্ধ সীমাঞ্চল বিহারে পাঁচটি সিটে জয়লাভ করায় এবার তার শ্যেনদৃষ্টি পড়েছে ধূলিয়ান-খাগড়াগড় মডেল-বাউল ফতোয়ার এই বঙ্গে। ১৮% এর বিহারে আপাতত মধ্যরাত্রি হলে অগণিত আরব ঘেঁটো সমৃদ্ধ ৩০% এর রাজ্যে ইতিমধ্যেই কালরাত্রি নেমেছে। নলেন গুড়ের ভাগাভাগির আশঙ্কায় ফেসবুকে থাকা গুটিকয় বাম এবং মসনদে আসীন উন্নততর বাম সরকারের কপালে গভীর চিন্তার ভাঁজ। হিন্দু জাতীয়তাবাদী দল ভোট কাটাকাটির সুবিধা পেতে উহাদের হাতে ধরে বঙ্গে আনছে, বাম সেকুলারদের এই চিরাচরিত চর্বিত চর্বনের বাইরে অন্য একটি প্রবণতা বিশেষভাবে লক্ষ্যনীয়। আরব সাম্রাজ্যবাদী দল এলে হিন্দু জাতীয়তাবাদীরা মেরুকরণের সুযোগে জিতে যাবে অর্থাৎ যদি হিন্দু জাতীয়তাবাদের 'বিপদ' না থাকতো, তবে ইস.লামি মৌলবাদী দল এলেও এদের কারো কোনো সমস্যা থাকতো না!! “এমন দলের উত্থান চিন্তার”, এটা সেকুলাররা বলছেন না। তারা বলছেন, “জাতীয়তাবাদীরা সুবিধা পাবে। তাই, এমন দলের উত্থান চিন্তার।” প্রাক স্বাধীনতা ভারতের ইতিহাস বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, ‛উহাদের’ হাতে ধরে কোথাও আনতে হয় নি। তারা এ...