পোস্টগুলি

ফেব্রুয়ারী, ২০২২ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

আনিস খানের মৃত্যু এবং...

ছবি
  আনিস খানের অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হচ্ছে, অধিকাংশ রাজনৈতিক ইস্যুর মতই কদিন বাদেই হয়ত থিতিয়েও যাবে। কংগ্রেস, সিপিএম, তৃণমূল, আইএসএফ এবং আইমিম... পঞ্চজনাই আনিস খানকে "আমাদের লোক" বলে দাবি করেছেন বিভিন্ন সময়ে। এমনকি বিজেপি পর্যন্ত আনিসের মৃত্যুর প্রতিবাদে পদযাত্রা ডেকেছে (অবশ্য শেষমেশ কর্মীদের ব্যাপক ক্ষোভের মুখে নেতৃত্ব সে পদযাত্রার ইস্যু বদলাতে বাধ্য হয়েছেন)। আনিস খানের রাজনীতি ঠিক কী ছিল সাধারণ মানুষ জানেন না, রাজ্যের মেইনস্ট্রিম মিডিয়া অবশ্যই জানাবেও না। তবে আনিসের মৃত্যুর বিচারের দাবিতে বামপন্থী ও অতিবামপন্থীদের মাত্রাতিরিক্ত সোচ্চার দেখে হয়ত অনেকেই অনুমান করে নিতে পেরেছেন। আনিস খানের রাজনৈতিক দল কী তা জানা না গেলেও তাঁর রাজনৈতিক অবস্থান কী, সেটা তাঁর সোশ্যাল মিডিয়ায় করা একাধিক ঘোষণা থেকেই স্পষ্ট। আনিস মনে করতেন, এ দেশে কুড়ি কোটি মুসলমান আছে, সুতরাং উদার ও মুক্তমনা হিন্দুদের উপর নির্ভর করে অধিকার আদায়ের ভাবনা মুসলমানদের ছাড়তে হবে। স্পষ্টতই, তিনি যে কালেক্টিভের হয়ে অধিকার আদায়ের লড়াই লড়তেন সেটি কেবল ও কেবলমাত্র ধর্মভিত্তিক। আনিস ভারতীয় অঙ্গরাজ্য কাশ্মীরকে ব্র...

তারানাথ খোট্টার “ভাষাদিবস”

ছবি
  “ফজরে উঠিয়া আমি দিলেদিলে কই, হররোজ আমি যেন শরিফ হইয়া রই। মুরুব্বিগন যাহা দেন ফরমান, খিদমত করি তার করি সম্মান।” "এর'ম উর্দু-বাংলা মেশানো বাল্যশিক্ষা কোত্থেকে পেলেন?" বজরাদা মোবাইলের স্ক্রীন থেকে চোখ না সরিয়ে বললেন, "আর বলেন কেন, বাংলাদেশ থেকে মারুফভাই পাঠিয়েছেন। আজ হ্যাপি মাতৃভাষা দিবস না?" একে একে আমরা জড়ো হচ্ছি দাসদার চায়ের কেবিনে। কয়লার উনুনে চাপানো কেটলিতে চা ধুমায়িত হচ্ছে। চায়ের কাপে তুফান ওঠার প্রস্তুতি। এর মধ্যে তারানাথ খোট্টা ফস করে জিজ্ঞেস করে বসল "মাতরিভাসা দিবোস টা কি কেস তোপদা?" উফ, এই অশিক্ষিত ছাতুখোরটাকে মাতৃভাষার মর্ম কি করে বোঝাই! কোথা দিয়ে শুরু করি! সাতপাঁচ ভেবে, স্থির করলাম বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ দিয়েই স্টার্ট করা ভালো। বললাম, "একাত্তর সালে পশ্চিম পাকিস্তান থেকে পুর্ব পাকিস্তান আলাদা হয়েছিল সেটা জানিস তো?" তারানাথ সম্মতিসূচক মাথা নাড়ল। চেপে ধরলাম, "কেন আলাদা হয়েছিল বলতো?" "অত লন্ড-লসুন বোলতে পারবো না তোপদা। কোন পলিটিকাল কারন ছিল। পারলামেন্টমাঁ সিট উট কি ডিসপুট ছিলো। যাঁহাতক হামে ইয়াদ হ্যায়।" "আজ্ঞে ন...

অহিংসা

ছবি
“ অহিংসা পরম ধর্ম, এ বাক্যের প্রকৃত তাৎপর্য এই যে, ধর্ম্য প্রয়োজন ব্যতীত যে হিংসা, তাহা হইতে বিরতিই পরম ধর্ম। নচেৎ হিংসাকারীর নিবারণ জন্য হিংসা অধর্ম নহে; বরং পরম ধর্ম। ” ―বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, কৃষ্ণচরিত্র আর্টিস্ট: তন্নিষ্ঠা মুখার্জী

আনিস খানের ফেসবুক এবং কিছু স্মৃতিচারণ...

ছবি
মারা গেছেন আনিস খান। কেন? জানা নেই। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব থেকে পরকীয়া প্রেম, সবকিছুই হতে পারে।  কিভাবে? জানা নেই। খুন থেকে আত্মহত্যা, সবকিছুই হতে পারে।  একজন মার্ক্সবাদী মুসলিমের মৃত্যুতে আমরা দুঃখিত। ঠিক ততটাই, যতটুকু দুঃখিত তাঁরা ভারতের কমলেশ তিওয়ারীর মৃত্যু থেকে ফ্রান্সের শিক্ষক স্যামুয়েল প্যাটির মৃত্যুতে হয়ে থাকেন।  আমাদের ভোট পেতে হয় না। তাই ন্যাকামার্কা সুশীলতার প্রয়োজন আমাদের নেই। তাই এই সময়েই কিছু অপ্রিয় প্রসঙ্গ তোলা যাক। মৃত্যু হলে সবাই ভালো হয়ে যায় বা মৃত ব্যক্তিকে নিয়ে আলোচনা করতে নেই জাতীয় বক্তব্যে আমরা বিশ্বাস করি না। এতএব এইসব হ্যাজ দেবেন না কমেন্টবক্সে। দিলেও আমাদের মানসিকতার কোনোরকম পরিবর্তন আশা করবেন না। যাইহোক, মৃত্যুর পরে বাম ব্রিগেড থেকে বারবার বলা হচ্ছে মৃত ব্যক্তি একেবারে নিরপেক্ষ মেহনতি মানুষের প্রতিভূ। সমাজকর্মী এবং ব্লা ব্লা ব্লা... সে বলুন। বাম ব্রিগেড অনেক কিছুই বলে থাকেন। কান দিতে নেই। তবে সবচেয়ে হাস্যকর লাগছে কিছু সুশীল হিন্দুত্ববাদী নামধারী প্রোফাইলের ছাগলের তৃতীয় সন্তানের মতো কান্নাকাটি দেখে।  যাই হোক, মৃত ভদ্রলোকের ফেসবুক এখনো লাইভ। খুঁজে দেখ...

বিল্পব ও গান্ধী #১

ছবি
  অবিভক্ত বাঙ্গালার ফরিদপুর জেলার লোনসিং গ্রাম। নিজের সময়ে এশিয়া মহাদেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ অস্ত্রবিশারদ, লাঠিসেনাপতি পুলিনবিহারী দাশ এই গ্রামেরই কীর্তিমান সন্তান। কতবার যে তাঁর অনুশীলন সমিতির সভ্যরা পূর্ববঙ্গে মুসলিম লীগের গুণ্ডাদের হাত থেকে হিন্দুর প্রাণ-মান রক্ষা করেছে তা গুণে শেষ করা যাবেনা। শুধু লাঠিখেলাতেই নয়, ছোরাখেলা, যুযুৎসু ইত্যাদি লড়াইতেও সমান পারদর্শী পুলিনবাবু ছিলেন ব্রিটিশের চোখে মূর্তিমান আতঙ্ক। সুযোগ্য নেতৃত্বগুণে পূর্ববাংলার প্রান্তে প্রান্তে তিনি গড়ে তুলেছিলেন ৫০০র অধিক অনুশীলন শাখাকেন্দ্র।    মোহনদাস করম চাঁদ গান্ধী। যাকে কেউ কেউ মহাত্মা গান্ধীও বলে থাকেন, তবে সেটা তত জরুরি ব্যাপার না, আবেগের আতিশয্যে কেউ কেউ মিঠুন চক্রবর্তীকেও মহাগুরু বলতো। কংগ্রেসে গান্ধীর একাধিপত্য কে চ্যালেঞ্জ করার মত কেউ না থাকলেও, বাঙ্গালার বিপ্লবীরা প্রশ্নের মুখের দাঁড় করিয়ে দিয়েছিলেন, তথাকথিত মহাত্মার তথাকথিত মহত্বকে। সাল:-১৯১৯ "এই সময়ে চিত্তরঞ্জন দাসের বাড়ীতে প্রত্যহই অপরাহ্নে বালক, যুবক, প্রৌঢ় নির্বিশেষে সকলে সমবেত হইত। সি. আর. দাসের নেতৃত্বে তখন বঙ্গদেশ গান্ধীর অহিংস অসহ...

পূর্ণিমা শীলের কাহিনী

ছবি
  “...কেঁদে ওঠে এক বাংলার মা, এক এক করে এসো বাবারা এক এক করে এসো... মেয়েটা খুব ছোট যে আমার, মেয়েটা খুব ছোট।” *** “সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার পূর্বদেলুয়া গ্রামের অনিল চন্দ্র শীলের মেয়ে পূর্ণিমা রানী শীল। চার বোন ও পাঁচ ভাইসহ বাবা-মায়ের সংসার ছিল সুখের। হেসে আনন্দে কাটছিল ওদের জীবন। ২০০১ সালের ১ অক্টোবর বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় সংসদ নির্বাচন। সদ্য জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জিতেছিল বিএনপি জোট। দেশব্যপী চলেছিল তাদের আনন্দ-উল্লাস। সেই আনন্দ-উল্লাসের ভয়ঙ্কর শিকার হহয়েছিল বহু হিন্দু পরিবার। তারই মধ্যে এক হতভাগ্য পরিবার ছিল এই শীল পরিবার।  সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার পূর্ণিমাকে ২০০১ সালের নির্বাচনে জয়ের পর হিন্দু হওয়ায় এবং আওয়ামী লীগকে ভোট দেওয়ার অপরাধে বিএনপির কয়েকজন স্থানীয় ক্যাডারের দ্বারা গণধর্ষনের শিকার হতে হয়। নবম শ্রেণীতে পড়া পূর্ণিমাকে ধর্ষণ করতে এসেছিল ১০-১২ জনের একটি দল। বাচ্চা মেয়েটা এতজনের অত্যাচার সহ্য করতে পারবে না দেখে পূর্ণিমার মা কান্না করতে করতে বলেছিলেন, “বাবা’রা আমার মেয়েটা ছোট… মরে যাবে। তোমরা একজন একজন করে আসো।” ***** মেয়েটির বাবা আর মা আমার পায়ে এসে পড়ে; বল...

বিপ্লব ও হিন্দু স্বরাজ

ছবি
  🚩বাঙ্গালার সশস্ত্র বিপ্লবীদের লক্ষ্য ছিল ব্রিটিশ বিরোধিতার পাশাপাশি হিন্দু রাজত্বের পুনরুদ্ধার।  বিপ্লবীরা ব্রিটিশ বিরোধিতার সঙ্গে সঙ্গে হিন্দু উত্থানের লক্ষ্য নিয়েই আন্দোলন করেছিলেন। বিপ্লবী বারীন্দ্রকুমার ঘোষ হোক বা কমরেড মুজাফফর আহমেদ প্রত্যেকেই নিজ লেখনীর দ্বারা এই বক্তব্য সমর্থন করে গিয়েছেন। 🚩ব্যারিস্টার প্রমথনাথ মিত্র প্রতিষ্ঠিত বিখ্যাত বিপ্লবী সংগঠন ' অনুশীলন সমিতি 'র সদস্যপদ নেওয়ার প্রথম শর্তই ছিল হিন্দু হওয়া। দীক্ষা নিতে হতো বুড়োশিব মন্দির, রমনা কালীমন্দিরের মতো যেকোনো মন্দিরে। “হিন্দু নয় কিংবা যার মধ্যে হিন্দুদের বিরুদ্ধে কোনাে বিদ্বেষ আছে এমন কোনাে ব্যক্তিকে [ সমিতিতে ] ভর্তি করা হবে না।” [“No one is to be admitted who is a non-Hindu or who has any spite against the Hindus."] 'অনুশীলন সমিতি'র আরও একটি অনুশাসনের উল্লেখ পাই আমরা James Campbell Ker, I.C.S. (Political Trouble in India 1907-17, Printed in Calcutta, 1917.) -এর লেখায়:- "...যদি হিন্দুরা তাঁদের দৃঢ়তা ও জাতীয় গৌরব পরিত্যাগ করে এবং মুসলমানদের সঙ্গে গলায় গলায় ভাব করে তাদের বন্ধুত্ব যাচন...

অনুশীলন সমিতি

ছবি
  অনুশীলন সমিতি।  সশস্ত্র বিপ্লবের মাধ্যমে ভারত থেকে ব্রিটিশ শাসনের উচ্ছেদকামী এই দলটির নাম শোনেননি এমন ইতিহাসপাঠক বিরল।  এই সমিতি হিন্দুত্বের ভিত্তিতে বঙ্কিমচন্দ্রের 'অনুশীলন তত্ত্ব'-এর আদর্শে গড়ে ওঠা ব্রিটিশ বিরোধী দল। আজ আপনাদের জানাবো অনুশীলন সমিতি সম্পর্কিত বিশেষ কিছু তথ্য। ******** অনুশীলন সমিতির কিছু  নেতাদের নাম এইখানে দেওয়া হলো। 📌কলিকাতা: প্রমথ মিত্র , যতীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ( নিরালম্ব স্বামী ), অরবিন্দ ঘােষ, বিপিনচন্দ্র পাল, সুবােধচন্দ্র মল্লিক, তারকনাথ দাস, যােগেন্দ্র বিদ্যাভূষণ, সতীশচন্দ্র বসু, সখারাম গণেশ দেউস্কর, বারীন্দ্রকুমার ঘােষ, ব্ৰহ্মবান্ধব উপাধ্যায়, সুরেন্দ্রনাথ হালদার, ভূপতি মজুমদার, নরেন্দ্র ভট্টাচাৰ্য, হরিকুমার চক্রবর্তী, যাদুগােপাল মুখার্জি প্রমুখ।  📌ঢাকা: আনন্দচন্দ্র পাকড়াশী, ললিতমােহন রায়, পি. সি. সেন, পুলিন বিহারী দাস, ভূপেশচন্দ্র নাগ, উপেন্দ্রচন্দ্র নাগ, শ্ৰীশচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, হেমেন্দ্রনাথ দাশগুপ্ত, মনােরঞ্জন ব্যানার্জী, ডাঃ মােহিনীমােহন দাস, বীরেন্দ্র মজুমদার, হরেন্দ্র চক্রবর্তী, আশুতােষ দাশগুপ্ত, নরেন্দ্রমােহন সেন, মা...

জয় জয় দেবী...

ছবি
  বিসৃষ্টৌ সৃষ্টিরূপা ত্বং স্থিতিরূপা চ পালনে । তথা সংহৃতিরূপান্তে জগতোঽস্য জগন্ময়ে ।। ভারতীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও যখন মরুবর্বরদের আস্ফালন মাথা তুলে দাঁড়ায়; যখন নেকড়ের দল রাষ্ট্রের প্রশাসনের আস্কারা পেয়ে পেয়ে সিংহ শিকারের দুঃসাহস দেখায়; যখন ইউনিফরমিটির থেকেও বড় হয়ে দাঁড়ায় ওদের দম্ভ; তখন, ঠিক তখনই, বিদ্রোহিনীরা গর্জে ওঠেন দৃপ্ত কণ্ঠে। সেই গর্জনে তাসের ঘরের মতো ভেঙেচুরে পড়ে তোষণপন্থার কেল্লা...  ইত্থং যদা যদা বাধা দানবোত্থা ভবিষ্যতি । তদা তদাবতীর্যাহং করিষ্যাম্যরিসংক্ষয়ম্‌ ।।    

অভিশপ্ত ১০ই ফেব্রুয়ারি

ছবি
 আজ অভিশপ্ত ১০ই ফেব্রুয়ারি।  "১৯৫০ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০ টা। ঢাকায় পূর্ব বাংলার সচিবালয়ে একজন মহিলাকে হাজির করা হয়। তার স্তন কাটা ছিল। বলা হয় সে কলকাতা দাঙ্গার শিকার। সাথে সাথে সচিবালয়ের কর্মকর্তা কর্মচারীরা কাজ বন্ধ করে হিন্দুদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দেয়। তারা মিছিল বের করে এবং হিন্দুদের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক শ্লোগান দেয়। মিছিল ক্রমে বড় হয় এবং একসময় এক মাইল লম্বা হয়। ভিক্টোরিয়া পার্কের কাছে মিছিল শেষ হয় দুপুর বারোটার দিকে। সেখানে হিন্দুদের বিরুদ্ধে বক্তৃতা দেওয়া হয়। এর ভিতর ছিল কিছু শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা। সবথেকে মজার বিষয় হচ্ছে যখন সচিবালয়ের কর্মকর্তারা হিন্দুদের বিরুদ্ধে এই মিছিল বের করেছিলেন তখন পূর্ব বাংলার প্রধান সচিব পশ্চিমবাংলার প্রধান সচিবের সাথে সংবাদ সম্মেলন করছিলেন খোদ সচিবালয়ে কিভাবে দুই বাংলার সাম্প্রদায়িক হিংসা কমানো যায় সেই বিষয়ে!!!  দাঙ্গা শুরু হল সেদিন দুপুর একটার দিকে। সারা শহরে একই সাথে। সারা শহরে হিন্দুদের হত্যা, লুণ্ঠন আর অগ্নিসংযোগ চলতে থাকে। মুসলিমরা পুলিশের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতেই এইসব অপরাধ চালায়। হিন্দুদের স্বর্ণের দোকান...

বোরখা ও আম্বেদকর

ছবি
...পর্দা ব্যবস্থার ফলে মুসলমান মহিলাদের পৃথক রাখার একটি ব্যবস্থা এসেছে। মহিলাদের বাইরের ঘরে, বারান্দায় বা বাগানে আসাটা কাম্য নয়। তাদের থাকার ঘরগুলিও বাড়ির পিছন দিকে। মুসলমান মহিলাদের যুবতী, বৃদ্ধা, সকলে এক-ই কক্ষে আটক থাকেন। তাদের উপস্থিতিতে কোনও পুরুষ ভৃত্য কাজ করতে পারে না। একজন মহিলাকে শুধু তার পুত্র, ভ্রাতা, পিতা, পিতৃব্য ও মাতুলস্থানীয় আত্মীয় এবং স্বামী অথবা বিশ্বাসযোগ্য বলে গণ্য এমন কোনও নিকট আত্মীয়ের সঙ্গে সাক্ষাতের অনুমতি দেওয়া হয়। এমনকি প্রার্থনার জন্য তিনি মসজিদেও যেতে পারে না। এবং বাইরে বেরোতে হলে তাকে অবশ্যই বোরখা পরতে হবে। ভারতে সবচেয়ে বিকট যে দৃশ্যগুলি দেখা যায়, তার একটি হচ্ছে বোরখা পরিহিতা মহিলার রাস্তা দিয়ে যাওয়া।... ...পর্দা মুসলমান মহিলাদের মানসিক ও নৈতিক পুষ্টি থেকে বঞ্চিত করে। স্বাস্থ্যকর সামাজিক জীবন থেকে বঞ্চিত হওয়ায় তাদের মধ্যে নৈতিক অধঃপতনের প্রক্রিয়া শুরু হতে বাধ্য এবং তা শুরু হয়ও। বহিঃজগৎ থেকে সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে তারা পরিবারে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কলহে নিজেদের মনকে নিয়োজিত করে। ফলে তারা সঙ্কীর্ণ ও অত্যন্ত সীমিত দৃষ্টিভঙ্গির মানুষ হয়ে ওঠে।.....